কাজ না করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কাঁথি ও চাকদায় দুই পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অপসারণ করা হল খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে। সোমবারই প্রদীপ সরকারকে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দল। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
প্রদীপ সরকারকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল। সমাজবিরোধীদের দিয়ে কাউন্সিলরদের হুমকি , তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করার চেষ্টার অভিযোগ ছিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ করা হয় থানা সহ অভিষেকের কাছে। খড়গপুরের ২৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ২১ জনই প্রদীপবাবুর বিরোধী ছিলেন। এরপরই চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রদীপ সরকারকে ইস্তফার নির্দেশ দিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, 'দোলাচল অবস্থা চলছিল পুরসভায়। আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে সংগঠনের বড় কাজে লাগানো হবে। তার আগে ওঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।'
আরও পড়ুন- ‘পুলিশকে ধরে আছাড় মারব, এখানেই মারব’, মমতার মন্ত্রীর বেনজির হুমকিতে তুলকালাম
দলের নির্দেশের পর অবশ্য এখনও প্রদীপ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় খড়গপুর টাউন থানায় চেয়ারম্যান খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরাকরের বিরুদ্ধে খড়গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তৃণমূলেরই ১৫ জন কাউন্সিলর। তার আগে জোড়া-ফুলের ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলরই চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের কাজকর্ম ও ব্যবহারে বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে সরাসরি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত জানিয়েছিলেন। প্রদীপবাবুকে পদ থেকে সরানোর আবেদন করা হয়।
থানায় তৃণমূল কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানান যে, সমাজবিরোধীদের দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কাউন্সিলরদের ঘেরাও করার চেষ্টা চলছে চেয়ারম্যানের মদতে। ফলে শাক শিবিরের কাউন্সিলররা প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন। অভিযোগ, চেয়ারম্যানের উস্কানিতেই গত বুধবার খড়গপুরের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পি. প্রভাবতীর বাড়ি ২-৩ ঘন্টা ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- SSC-র মাথায় সুবীরেশের নিয়োগেও চূড়ান্ত অনিয়ম? CBI দফতরে সংস্থার প্রাক্তন দুই কর্তা