চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে নাকি তিনটি দুস্প্রাপ্য মৌলের অস্তিত্ত্বের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে একটি মৌল নাকি পৃথিবীতে পাওয়াই যায় না। এমনই দাবি করেছেন ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশনে শরিক পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক অভিষেক সাহা। তিনি অবশ্য দুস্প্রাপ্য মৌলগুলির নাম কিছুতেই প্রকাশ্যে আনতে চাননি। তবে এটা জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে কী কী খনিজ পদার্থ এবং রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তা এখন খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
সফল হয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশন। বর্তমানে রোভার ’প্রজ্ঞান’ চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এই চন্দ্রযান-৩ মিশনে অংশ নিয়েছিলেন এরাজ্যের বেশ কয়েকজন গবেষক। তাঁদেরই অন্যতম ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক সাহা। তিনি বাঁকুড়া জেলার চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রধান।
আরও পড়ুন- আজও প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস, তালিকায় আপনার জেলাও? জেনে নিন ঝটপট
অভিষেক সাহার পড়াশোনা ভাতার মাধব পাবলিক হাইস্কুলে। মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলাফলের পর তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে বর্ধমান টাউন স্কুলে ভর্তি হন। তারপর তিনি মানকর কলেজ থেকে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিএসসি পাশ কররার পর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি-ও করেছেন তিনি। এরই পাশাপাশি তিনি সমুদ্র বিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে তিনি বাঁকুড়ার চাতরা রামাই পণ্ডিত মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রধান।
দেশ জুড়ে মেধার অন্বেষণে ’ইসরো’ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেনসিং' সেন্টার করা হয়েছে। তেমনই একটি সেন্টারের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শিক্ষক অভিষেক সাহা। সেই সূত্রেই তিনি চন্দ্রযান- ৩ মিশনে ডাক পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- এই রুটে আজ বন্ধ মেট্রো পরিষেবা, দুর্ভোগ বাড়বে যাত্রীদের
ইসরো জানিয়েছে, রোভার পেলোড লিবস (LIBS) এবং অ্যাপক্স (APXS) চালু আছে। প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভারের সমস্ত পেলোড স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে। অভিষেক সাহা জানান, রোভার প্রজ্ঞানের দুটি পেলোডের মধ্যে লিবসের কাজ লেজারের মাধ্যমে কোনও জায়গায় বিচ্ছুরণ ঘটানো।
ওই বিচ্ছুরণ থেকে প্লাজমা তৈরি করা এবং নির্দিষ্ট খনিজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা । আর আলফা পার্টিকেল এক্সরে অ্যাণ্ড ফটোমিটার বা অ্যাপক্স-এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে ফোটন কণা দেখে খনিজের সন্ধান করা। সেই মতোই রোভার প্রজ্ঞান 'ইতিমধ্যে অনেক খনিজের সন্ধান দিয়েছে। তার মধ্যে তিনটি খুবই দুষ্প্রাপ্য বলে অভিষেক সাহা জানান।