AC Classroom: গোটা দক্ষিণবঙ্গে অসহ্যকর ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত আট থেকে আশির। রাজ্যে খাতায়-কলমে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণবঙ্গে তার ছিটোফোঁটা ইঙ্গিত নেই। বরং মাত্রা ছাড়াচ্ছে অসহনীয় গরম। তীব্র গরমের হাত থেকে ছাত্রছাত্রীদের রেহাই দিতে বহু স্কুল লেখাপড়ার সময় পরিবর্তন করেছে। বেলার বদলে সকালের দিকে স্কুল চলছে অনেক জায়গাতেই। তবে জ্বালাপোড়া গরম থেকে খুদে পড়ুয়াদের রেহাই দিতে নদিয়ার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকাদের এমন উদ্যোগ সত্যিই বিরল।
নদিয়ার হাবিবপুর এলাকার দোহার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। মেরেকেটে এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা হল ৫২। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় প্রবল গরমে স্কুলের ক্লাসঘরে পড়াশোনা করাটাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ঠেকছিল। অসহ্যকর গরমে বাচ্চারা স্কুলে আসার ব্যাপারে কম আগ্রহ দেখাচ্ছিল। ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের গরমের হাত থেকে রেহাই দিতে স্কুলের ক্লাস ঘরে এসি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, উন্নয়ন খাতে আসা কিছু টাকা বাঁচিয়ে এবং বাকিটা নিজেরাই চাঁদা তুলে তারা এসি কিনেছেন। সবটাই স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তীব্র গরমের জেরে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলমুখো হচ্ছিল না। তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে এসি চলার জন্য যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের খরচ হবে সেটা কে দেবে?
এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, গরমের মাসখানেক এসি চলবে স্কুলে। এসির জন্য বাড়তি যে বিল হবে তা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের টাকা থেকেই মেটাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের তরফেও তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: পাটুলি, বোলপুর, বিষ্ণপুরে সম্পত্তির ছড়াছড়ি! পার্থের আরও জমি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে যারপরনাই খুশি কচিকাঁচারা। তারা এখন গরমের দুপুরে স্কুলে আসতে পারলেই যেন বেঁচে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দারুন এই তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসায় অভিভাবকরাও।