যাদবপুরকাণ্ডে 'চিঠি' রহস্যে নতুন মোড়। হস্টেলে যে ঘরে ওই পড়ুয়া ছিলেন সেখান থেকে একটি হলুদ ডাইরিতে পাওয়া গিয়েছিল। সেই ডায়েরিতেই চিঠি-র উল্লেখ ছিল। যা পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু উদঘাটনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চিঠি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কে এই চিঠি লিখেছিল? শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিলেন পড়ুয়া মৃত্যু কাণ্ডে ধৃত দীপশেখর দত্ত। সে নিজেই লিখেছিল ওই চিঠি। দীপশেখরের মা সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন যে, চিঠি লিখেছিলেন ধৃত দীপশেখর দত্ত। চিঠিতে সই করানো হয়েছিল নির্যাতিত পড়ুয়াকে দিয়েই।
তবে এখনই সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে চিঠি নিয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত নেবে লালবাজার। ঘটনার আগে, নাকি পরে চিঠি লেখা হয়েছে? জানতে মরিয়া পুলিশ।
আরও পড়ুন- স্বপ্নদীপের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়! ‘চিঠি’-তে উল্লেখ ‘রুদ্র দা’ আসলে কে?
গত শনিবারই মৃত ছাত্রের একটি ডায়েরি হস্টেলের ঘর থেকে পান তদন্তকারীরা৷ সেই ডায়েরিতে লেখা চিঠি ঘিরে শুরু হয় জল্পনা৷ চিঠিটি'র গোটাটাই টানা এক ভাবে লেখা হলেও তারিখের জায়গায় ডাবল রাইটিং পাওয়া গিয়েছে৷ তারিখের জায়গায় লেখা রয়েছে ১০ আগস্ট৷ অভিযোগ যে, ৯ আগস্টের উপরে নতুন করে ১০ আগস্ট করা হয়েছে সেখানে৷
আরও পড়ুন- এতদিন পর কেন যাদবপুরে? ফোন কেন বন্ধ ছিল? প্রশ্ন শুনেই কেঁদে ফেললেন রেজিস্ট্রার
আরও পড়ুন- স্বপ্নদীপের মর্মান্তিক মৃত্যুতে সুকৌশলে দায় এড়ালেন রেজিস্টার, কাকে নিশানা?
কিন্তু, গত ৯ আগস্টই যাদবপুরের মেন হস্টেলের নীচে নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে৷ পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, যে ৯ অগাস্ট ঘটনা ঘটলে, চিঠির তারিখ কেন ১০ আগস্ট করা হয়েছিল৷ তাহলে কী অভিযুক্তরা তথ্যপ্রমাণ হেরফের করার চেষ্টা করেছিলেন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
এদিকে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আরও ৬ ছাত্রকে তলব করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনও ওই পডুয়াদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন- র্যাগিংয়েরই বলি স্বপ্নদীপ! মেনে নিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার