Advertisment

পুলিশকর্তা জাহিরে বধূকে চাকরির টোপ-ধর্ষণ, অভিযুক্তের আসল পরিচয় জেনে হতবাক নির্যাতিতা!

স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Accused of raping and beating a housewife by pretending to be a police official

প্রতীকী ছবি।

অসহায় মহিলাকে চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা 'লুঠ'। পরে ধর্ষণ ও বেধড়ক মার। উপর মহিলার উপর পাশবিক এই নির্যাতনের অভিযোগ খোদ রাজ্য পুলিশেরই এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। প্রথমটায় নিজেকে পদস্থ পুলিশকর্তা পরিচয় দিয়ে মহিলার সঙ্গে ভাব জমান ওই ব্যক্তি। পরে চাকরি দেওয়ার নামে মহিলার কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। শেষমেশ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনে নালিশ নির্যাতিতার। তাঁদের পরামর্শেই এবার সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত মহিলার।

Advertisment

রক্ষকই ভক্ষক! উত্তর ২৪ পরগনার কেষ্টপুরে বেশ কয়েক বছর ধরে একমাত্র সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বাস করেন বছর তিরিশের এক মহিলা। সংসারের খরচ জোগাড়ে কাজের খোঁজ করছিলেন তিনি। তবে বহু চেষ্টাতেও ঠিকঠাক একটা কাজ তিনি জোটাতে পারেননি। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির গাববেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল সরদারের সঙ্গে আলাপ হয় ওই মহিলার। গোপাল পেশায় একজন পুলিশকর্মী। তবে কনস্টেবল পদে চাকরি করা গোপাল মহিলাকে পদস্থ পুলিশকর্তা বলে পরিচয় দেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- বাম আমলে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’: এবার সিপিআইএম-কে চরম হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য়র!

নিজেকে বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা পরিচয় দিয়ে মহিলার সঙ্গে ভাব জমান গোপাল। পরে মহিলাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছে মোটা টাকা হাতিয়ে নেন ওই পুলিশকর্মী, এমনই অভিযোগ মহিলার। মহিলার দাবি, তিনি গোপালকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- সারদা নিয়ে মমতাকে ‘প্যাঁচে ফেলা’ কুণাল-তির ঢাল, সুজন তেড়েফুঁড়ে ধুলেন তৃণমূলকে

শুধু তাই নয়, গোপাল তাঁর কাছ থেকে সোনার বেশ কিছু গয়নাও হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। চাকরির জন্য ইন্টারভিউয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মহিলাকে একটি রিসর্টে নিয়ে গিয়ে তোলেন ওই পুলিশকর্মী। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগা মহিলার।

পরে গোপাল সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নিয়ে মহিলা জাতে পারেন কনস্টেবল পদে চাকরি করেন ওই ব্যক্তি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে এরপর গোপালের কাছে টাকা ফেরত চান মহিলা। এতেই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন গোপাল। আবারও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন- শিক্ষায় ‘দুর্নীতি’ বাম আমলেও! CAG-এর রিপোর্টে তোলপাড়

শেষমেশ বাগুইআটি থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। তবে অভিযোগ, পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর নালিশ জমা নিতেই চাননি। পরে গোটা ঘটনা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনে লিখিত আকারে জানিয়েছেন ওই মহিলা। শেষমেশ তাঁদের নির্দেশেই এবার সরাসরি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নির্যাতিতার।

Mental torture West Bengal police
Advertisment