লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডে তল্লাশির সময়ে সংস্থারই কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড কাণ্ডে অভিযুক্ত ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ করল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, বিভাগীয় তদন্ত চলছিলই, এবার অভিযুক্ত ওই অফিরকে গুয়াহাটিতে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ অগাস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের আলিপুরের অফিসে টানা ১৮ ঘন্টা তল্লাশি চালায় ইডি-র গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র সীত্রেই এই তল্লাশি। তল্লাশির পরদিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তরফে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক কর্মী লালবাজারের সাইবার বিভাগে গিয়ে ইডি গোয়েন্দারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করে। সংস্থার কর্মীর অভিযোগ, তল্লাশির সময় সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়।
আরও পড়ুন- যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি, দুরন্ত কায়দায় পুলিশের জালে রানা রায়
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ইডির জবাব তলব করা হয়। তাতে বলা হয়েছিল যে, ল্লাশি চলাকালীন তাদের এক অফিসার ওই সংস্থার কম্পিউটারেই মেয়ের কলেজের হস্টেলের খোঁজ করেছিলেন। সেই কারণে কোনও ভাবে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে। তবে অনুমতিক্রমে এবং তল্লাশি সংক্রান্ত সমস্ত আইন মেনেই ওই কাজ হয়েছিল। এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে ইডি-র এক অফিসারকে সশীরের লালবাজারে এসে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, সেই নির্দেশ মানেনি ইডি কর্তারা। পরে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারের দু'টি হার্ডডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
ইডি-র দাবি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং ওই সংস্থার সিওও পদে কর্মরত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'। ২৮ অগাস্ট মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভাষণে অভিষেক বলেছিলেন যে, 'আমি যে দিন এসেছি, পরের দিন পাঠিয়ে দিয়েছে ইডিকে তল্লাশি করতে! আমার অফিসে গিয়ে তল্লাশি করেছে। তার সঙ্গে ১৬টা ফাইল একটা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে দিয়ে চলে এসেছে।' অর্থাৎ, অভিষেক কার্যত ইডি-র দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের।