ভয়ঙ্কর হচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের থাবা। এর মধ্যেই কলকাতার দুটি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে আরও দুই শিশুর। তবে তাদের অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ ছিল কিনা তা নিশ্চিৎ নয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও বেশ কয়েকজন শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত। সতর্ক জেলার সরকারি হাসপাতালগুলো।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজগুলিকে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে। জেলাস্তরের হাসপাতালকে প্রতিদিনের রিপোর্ট (রাত ১২টা থেকে পরের দিন রাত ১২টার হিসাবে) নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং ইমেলে পাঠাতে বলা হয়েছে।‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’-এ আক্রান্ত কত জন নতুন শিশুরোগী ভর্তি হয়েছে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে কত জন নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি, কতজন সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে কিংবা সিসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে, সেই সব তথ্য জানাতে হবে। জানাতে হবে, কত জনের অক্সিজেন চলছে এবং কত জনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।
এই অবস্থায় মানবিক পদক্ষেপ করেছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরে ক্রমশই অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে চলায় জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের দেখতে যান তৃণণূল বিধায়ক। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। সবরকম সহযোগিতায় আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।