পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর মিছিল বাংলায়। শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে মুর্শিদাবাদে। শুধু নবাবের জেলাতেই শনিবার ভোটের দিনে খুন হয়েছেন ১০ জন। নওদায় চায়ের দোকানে ঢুকে খুন করা হয়েছিল কংগ্রেস কর্মী লিয়াকতকে। রবিবার নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ভোট-হিংসা নিয়ে অধীর নজিরবিহীন আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অধীরের রোষের মুখে পড়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারও।
কী বলেছেন অধীর চৌধুরী?
'কংগ্রেস বসে থাকবে না। চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে খুন। বুথ দখলের জন্যই নওদায় কংগ্রেস কর্মীকে খুন করেছে। এত খুনেও মুখ্যমন্ত্রী কি মহান হবেন? বাংলায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সবার কাছেই এটা তো আশঙ্কার। শুধু একজনই নিশ্চিন্তে আছেন। মমতা ব্যানার্জি আর তাঁর পরিবার। খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতির বলি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ মৃত্যু মিছিল কবে থামবে জানি না। তবে থামাতে হবে। ভোট যখন শুরু হচ্ছে সেদিন বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন? নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন লিয়াকত। আর কত মানুষ মারবেন এই বাংলায়?'
এবরের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত দূরবীণ দিয়ে দেখতে হয়েছে। এই ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন অধীর চৌধুরী। একইসঙ্গে ফের একবার সেটিং তত্ত্বে বিঁধেছেন পদ্ম-জোড়াফুলকে। তাঁর কথায়, 'বঙ্গ বিজেপি যখন চিৎকার করছিল, তখন দিল্লি বিজেপি কেন চুপ ছিল? দিদি বিরোধী ঐক্য ভাঙবে বলে কেন্দ্রের সহায়তা।'
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে নওদায় নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবার। শোকস্তব্ধ পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন অধীর। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
অন্যদিকে, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে বিক্ষোভ-অবরোধে নামে বিজেপি। নন্দকুমার ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুরে ডিসিআরসি সেন্টারের ভিতরে ব্যালটবক্স বদল ও ব্যালট বদলের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভে সোচ্চার গেরুয়া দল। পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে রবিবার সাকলে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলে অবরোধ-বিক্ষোভ।