পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন তরুণী তুহিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সোমবার আসরে নামল কংগ্রেস। এদিন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরির নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল মৃতার বাড়িতে যান। অধীরবাবুর সঙ্গে ছিলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কংগ্রেস সভাপতি-সহ অন্যান্য নেতারাও। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে অধীরবাবু জানান, কংগ্রেস তাদের পাশে আছে। তাদের কোনওরকম আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলে হাত শিবির তাঁদের পাশে থাকবেন। দরকারে উচ্চ-আদালতে আপিল করা হবে।
এরপর সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অধীর চৌধুরি বলেন, 'এটা রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের বাংলা। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেখানে এরকম একটি ঘটনা খুবই লজ্জার।' তাঁর সংযোজন, 'যেভাবে এই ঘটনায় একজন সংখ্যালঘু ঘরের মেয়ের মর্যাদা নিয়ে কুরুচিকর আচরণ করা হয়েছে। মেয়েদের গলায় দড়ি পড়ানোর ছবি এঁকে দেওয়া হয়েছে। যারা এমন কাজ করে তারা কি সত্যিই মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোক? মেয়েটির মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে হুমকি ও ভীতিপ্রদর্শন করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন সকাল ৭টায় সন্তান প্রসব, ১২টায় মাধ্যমিক দিলেন তরুণী
অধীর বাবু আরও বলেন যে, 'গোটা রাজ্যে মহিলা ও সংখালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।' প্রসঙ্গত এর আগে কংগ্রেসের কার্যকরী নেপাল মাহাতো ও কংগ্রেসের রাজ্যের মহিলা নেত্রী শুভ্রা দত্তের নেতৃত্বে দুটি দল মৃতার বাড়িতে এসেছিল।
উল্লেখ্য, বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ মসজিদ সংলগ্ন নতুনপল্লী এলাকায় পৌর ভোটের ফল ঘোষণার পর বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম তুহিনা খাতুন (১৮)। তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তুহিনা রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
নবনির্বাচিত ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন মৃতার পরিবার। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পরিবারের মূল অভিযোগ ছিল এলাকার সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিরুদ্ধে।