Adhir Ranjan Chowdhury on SSKM: আবারও প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতির নিশানায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) । এবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের SSKM-এ ভর্তি হওয়া নিয়ে সুর চড়ালেন বহরমপুরের কংগ্রেসে সাংসদ। শনিবার SSKM ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছিল কংগ্রেস। ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার থেকে মিছিল করে SSKM-এর দিকে যাচ্ছিলেন কংগ্রেসের কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রসে সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Choudhuri) । সেই মিছিল পুলিশ আটকে দেয়। রাস্তায় বসেই রাজ্যের শসাকদলকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
অসুস্থ হলেই রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতারা ছুটে যান SSKM হাসপাতালে। বিশেষ করে গত কয়েকবছরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবের পরপরই তাবড় নেতা-মন্ত্রীকে তড়িঘড়ি SSKM-এ গিয়ে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে। কে নেই সেই তালিকায়? পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) থেকে শুরু করে হালফিলে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujaykrishna Bhadra), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা (Jyotipriya Mallik) SSKM-এর দরজায় কড়া নেড়েছেন। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের SSKM-এ ভর্তি হওয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছিল। এমনকী SSKM কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে SSKM ইস্যুতে আজ পথে নেমে বিক্ষোভ কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন- দুরন্ত সাফল্য! সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব নজির! অনন্য কীর্তির নতুন মাইলফলক ছুঁল বাংলার ছেলে!
SSKM ইস্যুতে কী বলেছেন অধীর চৌধুরী?
"তৃণমূলের চোর-দুর্নীতিগ্রস্তরা SSKM হাসপাতালকে রিসর্টে পরিণত করেছে। বঞ্চিত হচ্ছেন গরিব, মুমুর্ষু রোগীরা। এমনকী শিশুদের ICCU বেডও দখল করে রাখা হচ্ছে। একসময় এখানে জীবন বাঁচানোর সাধানা চলত। এখন এখানে কুকুরের ডায়ালিসিস হয়। দেশের সব থেকে পুরনো হাসপাতাল। হাসপাতাল কাদের, বাংলার মানুষকে ভাবতে হবে। অপরাধীদের সেফ হোম SSKM। উডবার্ন ওয়ার্ড সন্ধের পর রিক্রিয়েশন সেন্টার।"
আরও পড়ুন- নামী দামী বেসরকারি স্কুলও ভাবতেই পারবে না! তাকলাগানো কীর্তি বাংলার এই সরকারি স্কুলের
এদিন ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার থেকে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলে এসে যোগ দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। মিছিল এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ। পরে রাস্তায় বসেই প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেসের অন্য নেতা-কর্মীরা।