/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/09/adhir-2025-07-09-18-14-59.jpg)
Adhir Chowdhury: প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
ফের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ও তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে সোচ্চার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। " তৃণমূল যতদিন থাকবে দুর্নীতি ততদিন থাকবে, এটা নিয়ে মানুষ নিশ্চিত।" ফের শাসকদলের বিধায়ক গ্রেফতারিতে তৃণমূলকে তুলোধোনা বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের।
অধীর চৌধুরী এদিন বলেছেন, "এর আগে CBI বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে হানা দিয়েছিল, এখন গেছে ইডি। সেবারও মোবাইল ছুঁড়ে ফেলা হল, এবারও সেই চেষ্টা হল। তবে এবারে বোধ হয় মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলার তেমন জোর ছিল না, তাই মোবাইল ফোন ইডি হস্তগত করেছে।
অধীরের কথায়, "দিদির দলের যেসব চোর-বাটপার আছে, তাদের এবার সিবিআই-ইডি দেখে মোবাইল ছুঁড়ে ফেলার ট্রেনিং নেওয়া উচিত। এই ঘটনাগুলো একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সিবিআই বা ইডি তদন্তে র ভিত্তিতে হানা দেয়। তবে এতেও কাজের কাজ কি হচ্ছে সেই প্রশ্ন আমাদের থাকবে। শুধু বড়ঞার বিধায়কই নয়, তৃণমূলের আরো চোর ডাকাতের বাড়িতে সিবিআই বা ইডি যাচ্ছে এবং যেতে পারে। বাংলায় সব কিছুর অভাব থাকলেও দুর্নীতির কোন অভাব এই বাংলায় হতে দেয়নি তৃণমূল। দিদির রাজত্বকালে অবলীলায় এই বাংলায় তৃণমূলের লুঠের রাজ চলেছে। পুলিশ কিছুই দেখতে পায় না তাই চুরি, বাটপারি, দুর্নীতি করে সবাই রেহাই পেয়ে যায় । কখনো কখনো ইডি, সিবিআইকে দেখে মনে হয় কিছু করবে, কখনো কখনো আবার আশা নিরাশায় রূপান্তরিত হয়। বড়ঞার যিনি তৃণমূল বিধায়ক তিনি হয়তো জানেন যে তার মোবাইলটি পেয়ে গেলে তিনি যে দুর্নীতির ভাগ অন্যজনকে দিয়েছেন তাদের নম্বর ইডি পেয়ে যাবে। তাই হয়তো এই মোবাইল নিক্ষেপ। ইডি কাকে ধরবে কাকে ছাড়বে সেটা তারাই জানে। তৃণমূল যতদিন থাকবে ততদিন দুর্নীতি থাকবে এটা নিয়ে মানুষ নিশ্চিত।"
উল্লেখ্য সোমবার সাতসকালে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডির বিশেষ দল। এছাড়াও তার শ্বশুরবাড়ি এবং সাঁইথিয়ায় তার তৃণমূল কাউন্সিলর পিসির বাড়িতেও হানা দেয় ইডির অন্য দলগুলি।
এদিন সকালে ইডি বাড়িতে ঢুকতেই নিজের মোবাইল ফোন দুটি পুকুরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। শুধু তাই নয় বাড়ির পিছনের পাচিল টোপকে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি ইডি সূত্রের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মোবাইল ফোন দুটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করে ইডি। পালাতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী জাওয়ানরা বড় আর তৃণমূল বিধায়ককে ধরে ফেলেন। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বছর দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেই জীবনকৃষ্ণ সহাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা CBI। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। এবার নিউ দুর্নীতির মামলাতেই ফের তাকে গ্রেফতার করলো আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।