মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের পরিবরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এখনও নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প বসানোর দাবি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের। 'বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। গরু, ছাগলের লেজ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। এই পাশবিকতার কোনও প্রয়োজন ছিল দিদিভাই?' তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁদে প্রশ্ন ক্ষুব্ধ অধীরের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমার প্রথম দিনেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। বাড়ির সামনে বসে তাস খেলছিলেন ফুলচাঁদ। তাঁর মায়ের সামনেই ছেলের মাথায় গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের মদতেই এই খুন বলে অভিযোগ পরিবারের। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত খুনে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- দুয়ারে দাঁড়িয়ে বর্ষা, আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়
এদিকে, দলীয় কর্মী খুনে ফুঁসছে কংগ্রেসও। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। একইসঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানিয়েছেন অধীর।
খড়গ্রামে দুষ্কৃতী হামলায় জখম কংগ্রেস কর্মীদের শনিবার হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সকালে খড়গ্রামে নিহত ফুলচাঁদ শেখের বাড়িতে গিয়েছিলেন অধীর। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'ভোট আসবে যাবে। কিন্তু এই ভোটকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস খুন সারা বাংলার মানুষকে হতচকিত করে দিয়েছে। গরিব অসহায় পরিবারের উপর হামলা। শুধ খুনই নয়, ঘরের বাসনপত্র পর্যন্ত লুঠ করে নিয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। গরু, ছাগলের লেজ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। বয়স্ক মহিলার হাতের অর্ধেক কেটে দিয়েছে। এই পাশবিকতার কোনও প্রয়োজন ছিল দিদিভাই? পঞ্চায়েত ভোটের নামে বাংলার গরিব এই পরিবারে পাশবিক এই হত্যা কেন হল?'