দোলের আগেই সাগরদিঘিতে উড়ছে সবুজ, লাল অবির। ফাটছে পটকা। উৎসবের আনন্দ। সাগারদিঘি উপনির্বাচনে গণনা যতই এগোচ্ছে ততই জয়ের জমি পোক্ত হচ্ছে কংগ্রেসের। বেশ খানিকটা ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। ফলাফল আর অন্যরকম হওয়া সম্ভব নয় বলে প্রত্যয়ী হাত শিবির। সাগরদিঘি জোড়-ফুলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হুঙ্কার, 'মমতা অপরাজিত নন, তাঁকেও পরাজিত করা যেতে পারে, প্রমাণ করল সাগরদিঘি।'
Advertisment
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সপ্তম রাউন্ডের শেষে কংগ্রেস প্রার্থী বয়ারন বিশ্বাস এগিয়ে আট হাজারেরও বেশি ভোটে। পিছিয়ে তৃণমূলে দেবেশিস ভট্টাচার্য। জয়ের গন্ধ পেয়েই উচ্ছ্বসিত অধীর চৌধুরী। সাফ বললেন, 'মমতা অপরাজিত নন, তাঁকেও পরাজিত করা যেতে পারে, প্রমাণ করল সাগরদিঘি। তৃণমূলকে বধিবে যে মুর্শিদাবাদে বাড়িতেছে সে। বাংলায় চোরতন্ত্রে উচ্ছেদ করে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।'
তৃণমূলকে হারাতে উপনির্বাচনে কার্যকর হয়েছে জোট। তাই জোট মডেলই জোড়-ফুলকে মসনদ থেকে হঠাতে পারে বলে মনে করেন অধীর চৌধরী। চাঁর কথায়, 'জোটই শেষ কথা। আমরা বামেদের সঙ্গে জোট থেকে সরে যাইনি। সিপিআইএমের মাঝে অন্য কিছু মনে হয়েছিল। তবে ফের ওরা জোটে ফিরেছে। এ জন্য বিমান বসু, মহঃ সেলিমকে ধন্যবাদ।'
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এবার নিরপেক্ষ ভোট হয়েছিল। বিজেপির কিছু ভোটারও মনে করেছে তৃণমূলকে হারাতে কৌশলগত কারণে কংগ্রেস-সিপিআইএম জোটকে ভোট দেওয়া যায়। তাঁরা ভোট দিয়েছেন জোটকে। ফলে কংগ্রেসের ফলাফল ভাল হয়েছে।'