এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শ্রীঘরে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। যা ঘিরে শোরগোল পড়েছে। বিরোধীদের নিশানায় মমতা সরকার। অস্বস্তি বাড়তেই জোড়া-ফুল পার্থ ও অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে মরিয়া। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ বলেছেন, 'দুর্নীতিকে সমর্থন করি না। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে আমার কিছু যায় আসে না।' যদিও ইডির তল্লাশিকে 'ট্র্যাপ' বলেও সন্দেহ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া তোপ দেগেছেন বিরোধী বিজেপি বাম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আসরে প্রদেশ কংগ্রেস। সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী চিঠি লিখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি ও তাতে মন্ত্রীর কীর্তি আদতে রাজ্য সরকারের 'কলঙ্ক' বলে দাবি করেছেন অধীরবাবু।
চিঠিতে কী লিখেছেন অধীর চৌধুরী?
'বর্তমানে আপনার মন্ত্রিসভার শিল্প ও পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপকর্ম সম্পর্কে এই চিঠি। '
২০১৪-২১ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। এই দুর্নীতির বিষয়টি বাংলার মানুষের কাছে আর নতুন নয়, সকলেই জানেন। আদালতে নির্দেশে তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই মামলায় পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। এটা রাজ্য সরকারের বিরাট কলঙ্ক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হোক বলে আমি আবেদন করছি।'
পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তৃণমূল বা মমতা তেমন কোনও রা না কাটলেও তাঁকে এখনই মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর কথা শোনা যায়নি। মমতা সোমবার বঙ্গ-সম্মান প্রদান মঞ্চে বলেছিলেন, 'সবাই সাধু তা বলছি না। এর মধ্যে কে কে আছে, আমি এখনও জানি না। চোর ডাকাতদের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেয় না। আমি নিজের দলের সাংসদ, বিধায়ক, ছেলেদেরও শান্তি দিয়েছি।'
আরও পড়ুন- অন্যায় করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চান মমতা! ‘ঠিক বলেছেন’, কলকাতায় ফিরে বললেন পার্থ