"২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে (Soumitra Chatterjee) বিভিন্ন পদ থেকে সরাতে শুরু করল, যে মানুষটা শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বহু কমিটির মাথায় বসে বাংলার শিল্পকলাকে আরও প্রসারিত করতে পারতেন, তাকে অবজ্ঞা করে অচ্ছুৎ করেই রাখা হল", মন্তব্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhuri)। কিংবদন্তী শিল্পীকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি।
বুধবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্ফগ্রিনের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রয়াত অভিনেতার বাড়ি থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই সৌমিত্রবাবু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সম্পর্কে এমন ক্ষোভ উগরে দেন অধীররঞ্জন। শুধু তাই নয়, কিংবদন্তি শিল্পী তথা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৌমিত্রবাবুর স্মরণে একটি সংগ্রহ শালা করার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সৌমিত্র-কন্যার সঙ্গে কথোপকথন-রত অধীর রঞ্জন চৌধুরী
জীবদ্দশায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন অধীরবাবু। কিংবদন্তী শিল্পীর মরদেহ নিয়েও রাজনীতি করা হয়েছে, বলে বিস্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেস নেতার। তাঁর কথায়, "সৌমিত্রবাবুর মরদেহ নিয়ে একটা রাজনৈতিক নাটক হয়ে গেল। অথচ তাঁকে যে সব পদে বসানো হয়েছিল, ২০১১ সালের পর থেকে এক এক করে সব কিছু তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত অনেক ছোটখাটো-মাঝারি, এপাড়া-সেপাড়ার শিল্পীদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সৌমিত্রর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিকে সম্মান দেওয়ার কথা ভাবেনি এই সরকার।"
এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, "সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যে কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তাঁর ঘরে ঢুকলেই তা বোঝা যায়। আজও টেবিলের উপরে তাঁর আঁকা ছবি রয়েছে। সব দেখে আমার অনুভূতি হল, যেন একটা তীর্থ দর্শন করে গেলাম।"