অবশেষে ৫ দিন পর উঠে গেল ভোগান্তির অবরোধ। টানা রেল ও রাস্তা অবরোধ তুলে নিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। রবিবার সকালে আপাতত অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধ চূড়ান্ত ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন কুড়মি নেতারা। রাজ্য সরকারের তরফে চিঠি দিয়ে ১০ এপ্রিল বৈঠকে বসতে আবেদন জানানো হয়েছিল আন্দোলনকারীদের। তবে সেই চিঠি তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
Advertisment
সারনা ধর্মের স্বীকৃতি ও কুড়মি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনা-সহ একাধিক দাবিতে টানা রেল ও রাস্তা রোকো অভিযানে নেমেছিল কুড়মি সমাজ। মূলত রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেই রেল-সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ে গত ৫ দিন ধরে নাছোড় মনোভাব দেখিয়েছে কুড়মিরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি, পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে চলে টানা রেল রোকো অভিযান। একটানা রেল অবরোধের জেরে ফি দিন কয়েক গুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়েকে। যার জেরে তীব্র ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদেরও।
রাজ্য সরকারের তরফে বারবার আন্দোলন তুলে নিতে বলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেননি কুড়মিরা। তবে পঞ্চম দিনে এসে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতারা। রাজ্য সরকারের আবেদন মেনে নয়, নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েই টানা অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো। পুরুলিয়ার কুস্তাউরে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা জানান তিনি। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে অবরোধকারী কুড়মিরা জানিয়েছেন তাঁদের কাছে নেতৃত্বের তরফে বার্তা এলে তাঁরাও অবরোধ তুলে নেবেন।
পুরুলিয়ার কুস্তাউরে এদিন তিনি বলেন, 'আপাতত আন্দোলন স্থগিত। খেমাশুলিতেও অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অবরোধ তুলে নিচ্ছি মানেই আমরা দুর্বল নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের সঙ্গে কী করেছে একথা আমরা সবার কাছে বলব। প্রশাসন চিঠি দিয়েছিল। মুখ্যসচিবের সঙ্গে ১০ তারিখ বৈঠকে বসতে বলা হয়েছিল। ওই চিঠি আমরা মানি না। আমরা চিঠি ফেরত দিয়েছি। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আন্দোলন আপাতত তুলে নিলাম।'