Advertisment

এমন নজির সত্যিই বেশ বিরল! অবিস্মরণীয় প্রতিভায় বেনজির কীর্তির মশাল জ্বালাল একরত্তি!

খুদের এই নজরকাড়া সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তার পরিবার।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
Adil Rahman of Monteswar got the India Book of Records honour

খুদের দারুণ কীর্তি রীতিমতো চর্চায়।

বয়স মাত্র আড়াই। এই একরত্তি বয়সেই আদিল রহমান তাঁর জ্ঞান ও মেধার পরিচয় দিয়ে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। জিতেও নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের নজরকাড়া সম্মান। হামাগুড়ি দেওয়া ছেড়ে জীবনের পথ চলা শুরু করতে না করতেই ছেলে আদিলের এমন সম্মান প্রাপ্তিতে যারপরনাই খুশি তাঁর বাবা-মা। তাঁদের আশা, বড় হয়ে আরও জ্ঞান ও মেধা অর্জন করে নিজের কাজের মধ্য দিয়েই আদিল দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

Advertisment

ছোট্ট আদিল কোনও বড় শহর বা শহরতলির বাসিন্দা নয়। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের

প্রত্যন্ত গ্রাম কুসুমগ্রামে তাদের বাড়ি। আদিলের বাবা হোসেনুর রহমান পেশায় ব্যবসায়ী। মা সাহিনা খাতুন সাধারণ গৃহবধূ। হোসেনুর বলেন, "আমার স্ত্রী সাহিনা খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আদিলকে অত্যন্ত ছোট বয়স থেকে লেখাপড়ার পাঠ দিতে শুরু করে। খেলার ছলো আদিলকে লেখাপড়া শেখাতে শুরু করে ওর মা। তবে ছেলে ছোট বয়স থেকে মোবাইল ফোনে যাতে আশক্ত না হয়ে পড়ে সেই ব্যাপারে সব সময় সজাগ থাকতাম। ছেলে কোনও কারণে কান্নাকাটি করলেও তাকে ভোলাতে কখনও আমরা ছেলের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিইনি।"

ছেলের এই নজিরবিহীন কীর্তি প্রসঙ্গে হোসেনুর আরও বলেন, "শুধুমাত্র খেলার ছলে মায়ের কাছে লেখাপড়া শিখতে শিখতেই মাত্র আড়াই বছর বয়সে আদিল ইংরেজিতে বিভিন্ন জীবজন্তুর নাম, মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম, প্রত্যেক ইংরেজি মাসের নাম, জাতীয় প্রতীক এই সবই রপ্ত করে ফেলে। এছাড়াও বাংলায় বেশ কিছু কবিতা-আবৃত্তি করতেও শিখে যায় আদিল। তারই ফলশ্রুতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সম্মান। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমার ছেলে আদিল মেডেল ও মানপত্র পেয়েছে।" পুরস্কারের সম্প্রতি তাঁদের বাড়িতে এসে পৌঁছোতেই খুশির হাওয়া পরিবারে।

আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগরের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস ‘পঁয়ষট্টির তরুণের’! মহৎ লক্ষ্যে অকল্পনীয় কীর্তির প্রশংসা সর্বত্র

publive-image

ছোট্ট আদিলকে নিয়ে মা সাহিনা।

ছেলে আদিলকে কোলে নিয়ে গর্বিত মা সাহিনা খাতুন বলেন, "আমার ছেলে মাত্র আড়াই বছর বয়সে পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এ এক বিরাট প্রাপ্তি। আমি চাই সবাই আমার ছেলেকে দোওয়া করুন, যাতে লেখাপড়া শিখে আগামী দিনে আমার ছেলে অনেক বড় হয়। নিজের জ্ঞান ও মেধা কাজে লাগিয়ে আমার ছেলে যেন দেশের ও দশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।"

আরও পড়ুন- কাল থেকেই তুমুল বদল আবহাওয়ায়, জমাটি ঠান্ডায় কাটবে বড়দিন?

তিনি আরও বলেন, "ইংরেজিতে বিভিন্ন জীবজন্তুর নাম, মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম, প্রত্যেক ইংরাজি মাসের নাম, জাতীয় প্রতীক এই সব তো আমার ছেলে রপ্ত করেইছে। এছাড়াও আমার মুখ থেকে শুনে শুনে আদিল এই ছোট বয়সেই আরবি ও সূরা বেশ খানিকটা রপ্ত করে ফেলেছে।"

india book of records West Bengal Purba Bardhaman
Advertisment