বিজেপি প্রার্থী হওয়ায় এক আদিবাসী তরুণীর পরিবারকে এক ঘরে করার হুমকির অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই তরুণীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। এমনকী গায়ের জোরে তঁর পুকুরের মাছও ধরে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর আসনে ইন্দ্রডাঙ্গাল গ্রামে থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নমিতা সোরেন। মল্লারপুর টুরকু হাঁসদা লপসা হেমব্রম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নমিতা এবারই প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সরস্বতী মুর্মু। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে সবাইকে শাসিয়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীকে এক ঘরে করার নিদান দিয়েছে তারাই।
অভিযোগ জানিয়ে বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নমিতা। তিনি বলেন, 'মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় এবার আমাদের এক ঘরে করে রেখেছে। আমাদের পুকুরের মাছ ধরে নিচ্ছে। প্রচারে বের হতে দিচ্ছে না। দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে। গণতন্ত্রের ভোট উৎসবে আমি প্রথম ভোটার। কিন্তু তৃণমূলের অত্যাচারে তিক্ত অভিজ্ঞতা হল। এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।'
বিজেপির ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক মণ্ডল সভাপতি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। প্রার্থী ও তাঁর পরিবারকে পুকুরে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। পানীয় জল নিতে দিচ্ছে না। তৃণমূল ওই সংসদে হারছে জানতে পেরেই এসব নোংরামি করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।'
আরও পড়ুন- হঠাৎ খবরে দ্রুত হানা, তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি ঢুকতেই চোখ কপালে! কী পেল পুলিশ?
ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী সরস্বতী মুর্মুর স্বামী জিতু সোরেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'ওরা দেওয়াল লেখেনি। মোছার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রচার করার স্বাধীনতা সবার আছে।' বিডিও অর্ঘ্য গুহ বলেছেন, 'বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। তাছাড়া আমরা যখন গ্রামে গ্রামে যাব তখন ওই প্রার্থী মানসিক আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করব।'