Gangasagar Mela 2024: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের। শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪। গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে প্রশাসনিক ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। এরই পাশাপাশি জোরকদমে চলছে এলাকার সৌন্দর্যায়নের কাজও। ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন সাগরদ্বীপে।
Advertisment
আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার আগে এলাকার অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থার কাজ খতিয়ে দেখলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। মঙ্গলবার দমকল মন্ত্রীর সঙ্গেই প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন মেলা প্রাঙ্গণে। গঙ্গাসাগরের মেলা উপলক্ষে যে অস্থায়ী ঘাটগুলি তৈরি হয়েছে তাও তিনি খতিয়ে দেখেছেন। কপিলমুনির আশ্রম চত্বর ও মেলার মাঠ ঘুরে দেখেছেন মন্ত্রী।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় পুন্যার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশা করছে প্রসাসন। তাই পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে সবরকমের আয়োজন করে রাখা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলাকে সফলভাবে পরিচালনা করতে চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না। মেলা চত্বরে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে এবছর দারুণ তৎপরতা নিয়েছে দমকল বিভাগ। মেলার সময় খোলা মাঠে রান্নায় পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হোগলার অস্থায়ী ঘরগুলিতে যাতে কোনওভাবে কোনও পুন্যার্থী রান্না করতে না পারেন সেব্যাপারেও নজরদারি চলবে।
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য অস্থায়ী আরও ১১টি ফায়ার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই স্টেশনগুলি করা হয়েছে। মেলা গ্রাউন্ডে ৬টি স্টেশন থাকবে, বাইরে থাকবে ৫টি স্টেশন। অগ্নি নির্বাপনের জন্য আরও বেশি সংখ্যক বাইক ব্যবহার করা হবে। এই বাইকে একইসঙ্গে জল ও ফোম বহন করা যায়। ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে এই বাইক।
জলের সমস্যা মেটানোর জন্য হাইড্রেন করা হচ্ছে। ২০৮৭টি হাইড্রেন পয়েন্ট থেকে জল সরবরাহ করা হবে। দমকলের অফিসার ও অপারেটর মিলিয়ে মোট ২৬০ জন মেলার কাজে যুক্ত হবেন। এছাড়া কচুবেড়িয়ায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার লিটারের ওয়াটার রিজার্ভারের ব্যবস্থা থাকছে।