Advertisment

শ্মশানে এবং গোরস্থানেই সৎকার হবে করোনায় মৃতদের, সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসনের

করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ জনবহুল এলাকায় পোড়ানো যাবে না, এই দাবি তুলে পুলিশের চোখরাঙানির তোয়াক্কা না করে সম্প্রতি প্রতিবাদ জানান কলকাতার নিমতলা মহাশ্মশান সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শ্মশানে চুল্লি বা কাঠে পোড়ালে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে না। একইভাবে, মাটির নিচে কোনও দেহ চলে গেলে সেখানেও সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস বা COVID-19। এমনটাই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। সুতরাং ২৪ মার্চ প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার নির্দেশিকা মেনে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ শ্মশানে অথবা গোরস্থানেই সৎকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

Advertisment

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানান হয়েছে, এখনও কোনো প্রমাণ নেই যে করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ পোড়ানোর বা কবর দেওয়ার সময় শেষকৃত্যে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি বা ওই এলাকায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ যাতে না ঘটে, সেই সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করে যদি করোনা আক্রান্ত শবদেহ দাহ করা বা কবর দেওয়া হয়, তবে সংক্রমণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। COVID-19 শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির পর বায়ু মারফত অন্য কাউকে সংক্রামিত করে। যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে যথাযথ সতর্কতা সহ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়, তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

আরও পড়ুন: শ্মশান নয়, ধাপার মাঠে দাহ হবে করোনায় মৃতদের দেহ, কবর বাগমারিতে

উল্লেখ্য, যখন কোনো মৃতদেহ বৈদ্যুতিক চুল্লি বা কাঠের চিতায় পোড়ানো হয়, তখন আগুনের তাপমাত্রা থাকে ৮০০ থেকে ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যাতে শুধু ভাইরাস নয়, সমস্ত দেহটাই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোটোকল মেনে চলা উচিত। তবে এটা একটা নতুন ভাইরাস, তাই মৃতদেহতে তার বাঁচার সম্ভাবনা আছে কিনা তা জানা নেই। যদিও আমরা জানি, ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পরজীবি। কারণ, জীবের সংস্পর্শে না এলে কোনো ভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে না। অন্যদিকে জীবের সংস্পর্শ না পেলে সে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এদিকে আবার শুনলাম কিছু বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, বেশ কিছু ধাতুর উপর COVID-19 বেঁচে থাকে অনেকটা সময়। তাই, যতদিন না ভালোমত গবেষণা হচ্ছে COVID-19 নিয়ে, কিছু বোঝা মুশকিল।"

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে, তাই কিছুতেই করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ জনবহুল এলাকায় পোড়ানো যাবে না, এই দাবি তুলে পুলিশের চোখরাঙানির তোয়াক্কা না করে সম্প্রতি প্রতিবাদ জানান কলকাতার নিমতলা মহাশ্মশান সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা। দিন চারেক আগে শ্মশানে করোনা আক্রান্ত শবদেহ দাহ করা নিয়ে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কান্ড।

এরপরেই ধাপার মাঠে করোনা আক্রান্ত মৃতের দেহ পোড়ানোর নির্দেশ দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু গত বুধবার সেখানেও অশান্তি দেখা যায়। কেন গন্ডগোল করছেন এলাকাবাসীরা? তাঁদের মন্তব্য, "ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। কারণ এখনও কোনো কোভিড-১৯ নিয়ে সেভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি। আদৌ তা ছড়িয়ে পড়বে কী পড়বে না, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য নেই। তাই জনবসতির এলাকায় করোনা আক্রান্ত শবদেহ দাহ করা যাবে না।"

coronavirus corona
Advertisment