Advertisment

১০ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াই! কোভিডজয়ী ১৮ মাসের একরত্তি

Coronavirus Covid-19: টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর কোভিড হারিয়ে জিতল শিশু। যদিও এই লড়াই সহজ ছিল না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus

অসাধ্যসাধন করেছে এই শিশুটি ও চিকিৎসকেরা

করোনার কবল থেকে মুক্তি পেল না সদ্যজাতও। কোভিড আবহে আক্রান্ত হল ১৮ দিনের একরত্তি শিশুও। টানা ১০ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর কোভিড হারিয়ে জিতল শিশু। যদিও এই লড়াই সহজ ছিল না একেবারেই। করোনাকে হারিয়ে সদ্যজাতের এই যুদ্ধজয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।

Advertisment

সূত্রের খবর, সদ্যজাতের পরিবারের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে। গত ২৪ এপ্রিল রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুটিকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত নিউরো সমস্যা নিয়েই শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয় ওই একরত্তিকে। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় খুদের দেহে। এরপর ২৭ এপ্রিল কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। করোনা কবলে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে শিশুটির। ফুসফুস ও হৃদপিন্ডেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।এরপর তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখেন চিকিৎসকেরা। টানা ১০দিনের লড়াইয়ের পর কোভিড লড়াই জিতল সদ্যজাত। যা কার্যত বেনজির। বর্তমানে শিশুবিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে সদ্যজাত। নিউরো সমস্যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

কিন্তু কীভাবে এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হল?

হাসপাতালের শিশুবিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তারকনাথ ঘোষ বলেন, "শিশুরা কোভিড থেকে সেরে উঠছে সেই নজির আছে। কিন্তু এত ছোট বাচ্চা এবং অত্যন্ত জটিল অবস্থা থেকে সেরে উঠছে, এটা আমাদের কাছে বিরাট ব্যাপার। শিশুটি এখন সুস্থ। এবার নিউরো সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা শুরু হবে। চিকিৎসক, নার্সিংস্টাফ সকলের চেষ্টায় এই কর্মকান্ড সফল হয়েছে।" শিশুটির মা জানান যে করোনা হয়ে কাঁচের ঘরে ভর্তি আছে শুনে আমরা সকলেই আতঙ্কিত ছিলাম। ডাক্তারবাবুরাই ওকে ফিরিয়ে দিয়েছে৷ ওঁদের ধন্যবাদ।"

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের নোডাল অফিসার তথা শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কৌস্তব নায়েক বলেন, "আমাদের হাসপাতালে সদ্যজাত কোভিড শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে । সেখানে এখন দুটি পজিটিভ কেস রয়েছে। চারটি সন্দেহজনক কেস আছে৷ কোভিডে শিশুমৃত্যু নেই। কিন্তু, এই শিশুকে অত্যন্ত কঠিন অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19
Advertisment