Advertisment

পাঁচদিন পর স্বস্তি, আন্দোলন প্রত্যাহার করল কুড়মিরা

গত পাঁচদিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে কুড়মিদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিস্তৃর্ণ অংশ। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
after five days kurmi community withdraws agitation

কুড়মি সমাজের বিক্ষোভ।

১০০ ঘণ্টা পর শেষ পর্যন্ত রেল, সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করল কুড়মি সমাজ। ফলে স্বস্তি পেলেন আম আদমি। শনিবার তিন জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর জট কাটল। আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত মাহাত।

তিনি বলেছেন, 'আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু আশাব্যাঞ্জক কথা হয়েছে। তারপর আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

Advertisment

শনিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম- এই তিন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কুড়মি নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতর ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সচিব সঞ্জয় বনশল। সিআরআই-এর তরফে কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে যে ভুল ছিল তা সংশোধন করার কথা জানানো হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে। সেই বিষয়টি জানতে পারার পরই কুড়মি নেতারা অবরোধ আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে একই সঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, আগামী দিনে দাবি পূরণ না হলে ফের কড়া আন্দোলনের পথ তাঁরা বেছে নেবেন।

কুড়মি সম্প্রদায় বেশ কয়েকটি দাবি তুলেছিল। তার মধ্যে ছিল, কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাঁদের উন্নয়ন ঘটানো। এই দাবির বেশিরভাগটাই কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্গত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারকে শুক্রবার চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু ওই দিনই ওই চিঠির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বিক্ষোভ, অবরোধ জট না কাটারই ইঙ্গিত মেলে।

গত পাঁচদিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে কুড়মিদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিস্তৃর্ণ অংশ। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। রেল চলাচল এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যহত হয়। গত কয়েকদিনে একশ-রও বেশি ট্রেন বাতিল হয়েছে। জাতীয় সড়কে শয়ে শয়ে ট্রাক, লড়ি থমকে যায়। নাজেহাল হন সাধারাণ মানুষ।

kurmi Andolon West Bengal purulia Paschim Medinipore jhargram
Advertisment