সপ্তাহ খানেক আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সীমান্ত এলাকায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ-এর (BSF) ক্ষমতা বাড়ানোর। পাঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর আওতাধীন এলাকা ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তার জেরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব এবং তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিএসএফ আইন সংশোধন করা হয়েছে। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবার থেকে সংশোধিত আওতাধীন এলাকায় তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করতে পারবে। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা গর্জে উঠে বলেন, "বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে আগে ১৫ কিমি অঞ্চল ছিল। আমরা দেখেছি ওরা বালুরঘাট আর কোচবিহারে কী করেছে। এবার ৫০ কিমি ওদের নিয়ন্ত্রণে। এটা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত।"
মমতা বলেছেন, তিনি রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। পাঞ্জাব সরকারও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। মমতার কথায়, "আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ার। পাঞ্জাবের মতো আমরাও প্রতিবাদ করছি। আমাদের সীমান্ত এলাকা একেবারে শান্তিপূর্ণ। প্রত্যেক রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। আমাদের রাজ্যে আইন আছে, আর সেটাই মেনে চলব। যদি বিএসএফ ৫০ কিমি এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়, তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হবে।"
আরও পড়ুন এবার তৃণমূলের নজরে উত্তরপ্রদেশ, বারাণসী যাবেন মমতা, ২ শীর্ষ কংগ্রেস নেতা ঘাস-ফুলে
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ। তেমনই ভুটান সীমান্তে রয়েছে সীমা সুরক্ষা বল বা এসএসবি (SSB)। নেপাল সীমান্তে বিএসএফ এবং এসএসবি দুটিই প্রহরায় রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন