বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় ৭ বছরের সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর পরেই ফিরল হুঁশ। বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে শুক্রবার রাতেই বসানো হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা এই ড্রপ গেটটি নামাচ্ছেন ও তুলছেন। এখান থেকেই রাস্তা পারাপার করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এছাড়াও বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের সামনেও ড্রপ গেট বসেছে। শুধু তাই নয়, গতকালের দুর্ঘটনার পর থেকে শহর কলাকাতার ট্রাফিক বিধিতে এসেছে বড় বদল।
শুক্রবার সকালে বেহালা চৌরাস্তা মোড়ের কাছে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ বছরের সৌরনীল সরকারের। বাবার সঙ্গে সাইকেলে স্কুলে যাচ্ছিল সৌরনীল। ঠিক তখনই বেপরোয়া গতিতে এসে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই স্কুল পড়ুয়ার। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তার বাবাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন- কিলবিল করে ঘুরছে ওটা কী? সিসি ক্যামেরায় ছবি দেখেই তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটি
এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা চৌরাস্তা মোড় চত্বর। পুলিশি অব্যবস্থার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের গাড়ি, বাইক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ইটের ঘায়ে মাথা পর্যন্ত ফেটেছে কয়েকজন পুলিশকর্মীর। পাল্টা লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি থামিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও তুলেছিলেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন- আবারও প্রবল বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে? উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে বড়সড় আপডেট
পরে গোটা ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। এরপরেই বেহালার ওই ব্যস্ত এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাতেও তুমুল কড়াকড়ি হয়েছে। ড্রপ গেট বসিয়ে রাস্তা পারাপারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বেহালা চৌরাস্তা মোড়, ট্রাম ডিপো -সহ কাছাকাছি এলাকায় একাধিক ড্রপ গেট বসানো হয়েছে।