Sheikh Shahjahan Arrest: ৫৬ দিনের মাথায় সন্দেসকালির 'বাঘ' শেখ শাহজাহান পুলিশের জালে। ধৃত তৃণমূল নেতার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসবের মেজাজ সন্দেশখালিজুড়ে। অকাল হোলি সর্বত্র। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আতসবাজি ফাটিয়ে অকাল দীপাবলি পালন করছেন গ্রামবাসীরা।
অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে সন্দেশখালি। যার গ্রেফতারির জন্য এতদিন সরব হয়েছেন তারা, লক্ষ্মীবারের ভোরে তার গ্রেফতারির খবর পেতেই উচ্ছ্বসিত সন্দেশখালি। উথসবের মেজাজে গা ভাসানো সন্দেশখালির ঘোজাপাড়ার এক বাসিন্দার কথায়, 'শান্তি পাব মনে হচ্ছে। এবার নির্ভয়ে বাস করতে পারব। অর্ধেক রাত জেগে থাকতে হবে না। বাড়ি থেকে মেয়ে, বউদের আর কেউ তুলে নিয়ে যাবে না। শেখ শাহাজাহান শাস্তি পাক, এটাই চাই।'
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে মারধর খেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকেই ফেরার ছিলেন শাহজাহান। বিরোধীদের আন্দোলন, আদালতের টানাপোড়েন তুঙ্গে ওঠে। এসবের মধ্যেই তৃণমূল নেতা সহ তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বেআইনিভাবে জমি দখল, ভেড়ি দখল, মহিলাদের সম্মানহানি, হেনস্থার অভিযোগে লাঠি, বাঁস ঙাতে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। রাজ্য পুলিশের দাবি উড়িয়ে হাইকোর্ট সাফ জানায় যে, পুলিশ, ইডি বা সিবিআই- শাহজাহানকে কোনও গ্রেফতারের কোনও বাধা নেই, যে কেউ ধরতে পারবে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অস্বস্তি বাড়তে থাকে মমতা সরকারের। এর মধ্যেই তৃণমূল মুখপাত্র গত সোমবার ঘোষণা করে দেন ৭ দিনের মধ্যে শাহজাহান গ্রেফতার হবে। সেই কথাই সত্যি হল। এদিন মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে। এই গ্রেফতারির জন্য পরোক্ষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতিত্ব দিচ্ছে শাসক তৃণমূল। পুলিশও ঢাল করছে কোর্টের নির্দেশকে।
এখনও স্থানীয়দের প্রশ্ন, 'বলা হয়েছে মিথ্যে অভিযোগ। তাহলে কেন এতদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শাহজাহান?' স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, 'রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল এই শেখ শাহজাহান। এতদিন ভোট দিতে পারতাম না। এবার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাব।'