গরু পাচার মামলায় আবারও অনুব্রত মণ্ডলের জামিন খারিজ হল। বীরভূমে জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। দিন কয়েক আগে গিয়েই রামপুরহাটে অনুব্রতকে 'বাঘ' বলে সম্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, 'যেদিন বাঘ খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসবে সেদিন সব শিয়ালরা খাঁচায় ঢুকে যাবে।' সিবিআই এদিন ফিরহাদ হাকিমের ওই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেই অনুব্রত জামিনের বিরোধীতা করেছে। অনুব্রতকে 'প্রভাবশালী' বলে আদালতে দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এ দিন শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। তাঁকে জামিন দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। এজলাসে তিনি বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল কত বড় প্রভাবশালী তা রাজ্যের এক মন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার। বীরভূমে সভা করে মন্ত্রী বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডল হলেন বাঘ। তার মানে আদালত বুঝে দেখুক এই ব্যক্তির প্রভাব ও প্রতিপত্তি কতটা।'
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবীর দাবি, অনুব্রতকে জামিন দিলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কারণ সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডল নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সবের তদন্তে প্রায়ই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। অনুব্রত ও তাঁর কন্যার নামে পাঁচটি লটারি জয়ের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। ফলে তৃণমূলের এই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে বলে ফের জেল হেফাজতে রাখার দাবি জানান।
সিবিআইয়ের দাবির বিরোধিতা করে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় জেলে রাখা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। আর্থিক তছরুপের মামলায় তদন্ত করবে ইডি, কিন্তু কেন তদন্ত করছে সিবিআই? গোটাটাই উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করা হয় কেষ্টর আইনজীবীর তরফে।
উভয়পক্ষের সওয়াল শুনে শেষ পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়।