বুধবারের পর বৃহস্পতিবার একই ছবি। উন্নয়নের কাজ নিয়ে আবারও দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কুণাল ঘোষ। দিদির সুরক্ষা কর্মসূচীতে যোগ দিতে পাঁশকুড়ার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে বুধবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। আর বৃহস্পতিবার সকালে পাঁশকুড়ারই হনুমান মন্দুর এলাকায় চা চক্রে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাস্তা নিয়ে একইভাবে স্থানীয় লোকজন ও দলের কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল কুণালকে। ফলে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচীতে যোগ না দিয়ে কোলকাতা ফিরতে হয় তাঁকে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে চাননি কুণালবাবু।
এদিন সকালে পাঁশকুড়াতে স্থানীয় হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে চা চক্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কুণাল ঘোষের। কিন্তু তার আগেই বেহাল রাস্তা নিয়ে বিক্ষোভের সম্মুখীন হন তিনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুসলেম আলি বলেন, 'মঙ্গলদাঁড়ি থেকে ডুবাপুল- এই ২ কিমি ও রাতুলিয়া থেকে আড়ং- এই ৫ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল। সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এর আগে রাস্তা সংস্কারের জন্যে প্রশানকে বহুবার জানানো হয়েছে। কোন লাভ না হওয়ায় আজ রাজ্য নেতৃত্বকে হাতের কাছে পেয়ে অভিযোগ জানাচ্ছি।'
এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় বলেন, ' কোনও কোনও নেতা নিজেদের হাইলাইটস করতে রাজ্য নেতৃত্বের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী যখন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন রাস্তার কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি রাস্তার কাজও শুরু হয়। কিন্তু উনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আইনি জটিলতার কারণে রাস্তার কাজ আটকে রয়েছে।'
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'একজন জেলখাটা আসামী প্রচারে এলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মানুষ তো ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাবে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন নয়। এখম মুশল পর্ব চলছে তৃণমূলে।'
বুধবার পাঁশকুড়ার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। রস্তার কাজ হয়নি কেন? এই অভিযোগ তুলে কাণাল ঘোষের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মহিলারা। শুধু তাই নয় প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ওমর আলির ছেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুসলেম আলি রাজ্য নেতৃত্বকে হাতের কাছে পেয়ে এলাকার বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ উগরে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। দলের কোন কর্মসূচীতে তাঁকে ডাকা হয়না বলেও জানান। বুধবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ বিক্ষোভে মলম লাগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা। তবে এদিন পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম।