পার্থ, অনুব্রত জেলে। গত রবিবার ম্যানটনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল, 'আমার বাড়িতে সিবিআই গেলে পথে নামবেন তো?' এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে 'নতুন তৃণমূল' লেখা পোস্টারে ছয়লাপ হয় কলকাতা। এর দিন চারেকের মধ্যে ফের শহরে তৃণমূলের নয়া পোস্টার পড়ল। যা ঘিরে জোর চর্চা চলছে।
শনিবার কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বরে তৃণমূলের নয়া পোস্টার লক্ষ্য করা যায়। পোস্টারে লেখা, 'সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে মমতাকে রোখা যাবে না।' নয়া পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের মুখও। এছাড়াও সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ফিরহাদ হাকিম, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বপন সমাদ্দারের মুখ।
এই পোস্টারের নেপথ্যে কেন বা কারা? পোস্টারে আইএনএনটিটিইউসি-র প্রতীক নজরে পড়ছে। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা সাহা ও মঃ শেহনাওয়াজের মুখও জ্বলজ্বল করছে।
'নতুন তৃণমূল' পোস্টারে শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছবিতে বড় ইঙ্গিত ছিল বলে দাবি বিরোধীদের। কয়েক মাস আগেই তৃণমূলে মমতা ও অভিষেক গোষ্ঠী নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। সেই বিতর্ক শেষে তৃণমূলের রাশ এখন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের হাতে বলেই দাবি করে বিজেপি ,সহ বাকি বিরোধী দলগুলি। নিজেদের স্বপক্ষে পার্থ, অনুব্রত গ্রেফতারের পর রাজ্যের নয়া মন্ত্রিসভায় অভিষেক অনুগামীদের বেশি ঠাঁইকে তারা হাতিয়ার করে। প্রশ্ন হল, তারই কী পাল্টা শনিবাসরীয় বিকেলে তৃণমূলের মমতা-অভিষেকের মুখ দেওয়া পোস্টার?
তবে, ওই পোস্টারে দেখতে পাওয়া দোলা সেন ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এই পোস্টারে অবশ্য বিতর্কের গন্ধ নেই বলেই মত বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। তিনি বলেছেন, 'বাংলাজুড়ে সিবিআই, ইডির বিরুদ্ধে দল দু'দিনের কর্মসূচি নিয়েছি। তাতে দাবি করা হয়েছিল, ইডি-সিবিআইকে নিরপেক্ষ হতে হবে। ফলে আমাদের কাউন্সিলার এই হোর্ডিং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই দিয়েছেন।'
পাল্টা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'গায়ের জোরে এসব বলছে। নানা ভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। ওরা যদি কিছু না-ই করে থাকেন, তা হলে সিবিআই-ইডি দিয়ে ভয় দেখানোর প্রশ্ন আসছে কেন? দোষ না করলে সিবিআি, ইডি কাউকেই কিছু করবে না।'