তপ্ত এগরার খাদিকুল গ্রাম। মঙ্গলবারের ভয়ঙ্কারকাণ্ডের পর বুধবার থেকে ওই গ্রামে শাসক-বিরোধী দলের রাজনীতিকদের আনাগোনা। বেলা বাড়তেই ঘুরে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর দুপুরেই বিস্ফোরণে নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে পৌঁছে যায় শাসক দল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দোলা সেনদের দেখেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। জোড়া-ফুলের প্রতিনিধিদের 'চোর-চোর-চোর হঠাও' বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
Advertisment
এদিন খাদিকুলে গিয়েছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, স্থানীয় বিধায়ক তরুণ মাইতি, সৌমেন মহাপাত্ররা। তাঁদের দেখেই ভিড় জমে যায়। শাসক দল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন স্থানীয়দের একাংশ। এরপরই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শাসক দলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে 'চোর-চোর-চোর হঠাও' বলে স্লোগান ওঠে। ক্রমশ যার মাত্রা বাড়ছিল।
বিক্ষোভের মুখে অবশ্য কোনও কথা বাডা়নি মন্ত্রী ও তৃণণূলের প্রতিনিধিরা। মানস ভুঁইয়া ও দোলা সেনরা ভিড় ঠেলে পাশে একটি বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত এবং আহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলিকে তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বজনহারাদের পাশে আছেন। যাঁদের জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
এদিনের এই অস্বস্তিকর অবস্থার জন্য বিজেপিকে দুষেছেন মন্ত্রী। মানস ভুঁইয়া বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু রাউডিরা অশান্তি পাকানোর ছক কষছিল। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দিইনি। নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।'