বাংলার সুশাসনের খতিয়ান তুলে ধরতে মাঝেমধ্যেই বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের নানা ঘটনার তুলনা টানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতার সেই তুলনাকেই পুঁজি করে তাঁকে পাল্টা নিশানা করলেন বঙ্গ বিজেপি নেত্রীর তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
এ রাজ্যে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় অংশ। মামলা চলছে হাইকোর্টে। বাংলার যখন এই ছবি, তখন উত্তপ্রদেশে সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন এই বিষয়টিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সঙ্গে তুলনা টেনে সর্বসম্মুখে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরছেন না সেই প্রশ্ন করেছেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
এদিন টুইটে অগ্নিমিত্রা লেখেন, 'উত্তরপ্রদেশের সব সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর জন্য অভিনন্দন যোগী আদিত্যনাথ। যা ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৪২ শতাংশ। পেনশনভোগীদের প্রাপ্যও ৪ শতাংশ বাড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি সবসময় উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করেন। এরপরও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কিছু শিখছেন না কেন??'
বকেয়া ডিএ-র দাবিকে বাংলাজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের কোষাগারের কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া অসম্ভব। এমনকী ডিএ-এর বিষয়টি রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার নয় বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা শর্ত, বর্তমানে ৬ শতাংশ ডিএ পান এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। তা আরও ৩ শতাংশ বাড়ানো যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের বকেয়া পাওয়া অর্থের জন্য দরবার করতে হবে ও তা কেন্দ্রের থেকে এনে দিতে হবে। মমতার এই শর্ত 'রাজনৈতিক অভিসন্ধি' বলে দাবি করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।