অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা শুরুর আগেই রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে রবিবার শুনতে হল 'চোর চোর' স্লোগান। প্রচারে বেরিয়েছিলেন সাবিনা। সেই সময় তিনি রাস্তা দিয়ে গাড়ির মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে 'চোর চোর' স্লোগান শোনেন। মোথাবাড়ির বিধায়ক উপস্থিত জনতার দিকে সেই সময় হাত নাড়ছিলেন। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে স্লোগান ভেসে আসে। রাস্তার পাশে মন্ত্রীকে দেখতে হাজির বাসিন্দারাই 'চোর চোর' স্লোগান দেন। সাবিনা বা তাঁর দলের কর্মীরা অবশ্য সব শুনেও চুপ করে এলাকা ছাড়েন।
Advertisment
অভিষেকের সভার পরে এই ব্যাপারে সাবিনাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে, প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেছিলেন। মন্ত্রীকে জানানো হয়, গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তারপরেই, ক্ষোভ উগরে দিয়ে সাবিনা অভিযোগ করেন, 'যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে বড় হয়েছে। তাঁরাই এখন অন্য দলে গিয়ে এসব স্লোগান দিচ্ছে। ওই সব লোকজন দল ছাড়ায় ভালোই হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এই লোকজন বিশ্বাসঘাতক। তাঁদের জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম হয়েছে। সেই লোকজনই অন্য দলে গিয়ে সাধু সেজে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করছে।'
সাবিনা এই সব কথা বলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসকে চরম কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গেলে সাধারণ মানুষ চোর চোর বলছে। যেখানে মানুষ ভয় পাচ্ছে, সেখানে বলতে পারছে না। আর, যেখানে ভয় কাটিয়ে উঠতে পারছে, সেখানে এই স্লোগান দিচ্ছে।'
প্রায় বিজেপি নেতার ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে 'চোর চোর' স্লোগান ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন সিপিএম জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। তিনি বলেছেন, 'মানুষ বুঝে গেছে যে তৃণমূল কংগ্রেস মাথা থেকে পা অবধি চোর।' বিরোধীরা যখন সমালোচনায় মুখর, সেই সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে খোদ মন্ত্রীকে দেখে 'চোর চোর' স্লোগানের ঘটনায় অস্বস্তিতে মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।