Air India crash:আহমেদাবাদের বি জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের মেসে লাঞ্চ করছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্র আরিয়ান রাজপুত এবং তাঁর এক বন্ধু। খাওয়া শেষে বন্ধু যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আরিয়ান তাকে বলেন,“তুই আগে যা, আমি হাত ধুয়ে আসছি।” আর এই কয়েক সেকেন্ডেই নিয়তি বদলে দিল সবকিছু।
ঠিক তখনই এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171 হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই হোস্টেল বিল্ডিংয়ে। বাইরে বেরিয়ে যাওয়া আরিয়ানের বন্ধুটি প্রাণে বেঁচে যান, আর ভিতরে থাকা আরিয়ান প্রাণ হারান।
বিমান দুর্ঘটনার মাত্র ১০ মিনিট পর, আরিয়ানের ফোন থেকেই তাঁর রুমমেট ফোন করেন পরিবারের এক সদস্যকে জানান আরিয়ান আহত, আইসিইউ-তে ভর্তি।” তাঁর পরিবার সঙ্গে সঙ্গে রওনা দেয়, হাসপাতালে পৌঁছাতেই পরিবারের লোকজন জানতে পারেন আরিয়ান আর বেঁচে নেই।
২০ বছর বয়সী আরিয়ান ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। কোচিং ছাড়াই NEET পরীক্ষায় ৭২০-র মধ্যে ৭০০ নম্বর পেয়ে তিনি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তার বাবা, পেশায় কৃষক রামহেত রাজপুত বলেন, “আমার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন ছিল আমার ছেলেকে ডাক্তার বানানো"। প্রতিদিন রাত ৯টায় বাবা-ছেলের মধ্যে ফোনে কথা হতো। আরিয়ান জানাতেন তাঁর ক্লাস, মেসের খাবার, ছোট ছোট সাফল্য— এই নিয়েই চলত বাবা-ছেলের কথা। যদিও আরিয়ানের মা'কে তার মৃত্যুসংবাদ এখনও জানানো হয়নি।