চাকরি দেওয়ার নামে আবারও প্রতারণার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতায়। এয়ার এশিয়ায় চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগে চিরাগ কাপুর ও চিত্রদীপ পাল নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোডের একটি বহুতলে অফিস খুলে ধৃতরা এয়ার এশিয়ায় চাকরির নামে ভুয়ো নিয়োগ করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু ভুয়ো নিয়োগপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও কার্ড সোয়াইপ মেশিন, একটি ল্যাপটপ ও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ দেবাদিত্য শিকদার নামে বছর সাতাশের এক যুবক ভবানীপুর থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, এয়ার এশিয়ার গ্রাউন্ড সুপারভাইজার পদে চাকরির নামে তাঁর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। দেবাদিত্য জানান যে, এয়ার এশিয়ায় ওই পদে নিযুক্ত হলে তাঁকে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। চাকরির দেওয়ার বিনিময়ে টাকা চাওয়ার প্রস্তাবে সন্দেহ হওয়ায় থানার দ্বারস্থ হন ওই যুবক।
একথা জানার পরই এজেসি বোস রোডের ওই বহুতলে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। সেখানেই প্রথমে আটক করা হয় চিরাগ ও চিত্রদীপকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন ডিসি সাউথ মিরাজ খালিদ।
আরও পড়ুন: খোদ কলকাতায় অ্যাসিড হামলা, অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, চিরাগের বাড়ি মহাময়াতলার কালীতলা লস্করপাড়ায়। অন্যদিকে, চিত্রদীপ কলকাতার চিৎপুর থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। শুধু দেবাদিত্যই নন, আরও বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী এদিন ওই অফিসে আসেন। তাঁরাও দাবি করেন যে, এয়ার এশিয়ায় চাকরির নামে তাঁদের থেকেও ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে কলকাতা ও দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে এয়ার এশিয়ার গ্রাউন্ড স্টাফের চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই প্রার্থীরা ওই অফিসে আসেন।
বারাসাতের হাটখোলা মোড় এলাকার বাসিন্দা সংগীতা ভট্টাচার্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভবানীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।