মাথা থেকে রক্ত ঝরছে অবিরাম। সহপাঠীরা কোনওরকমে আগলে রেখেছেন তাঁকে। তবুও মেয়ের দৃঢ়চেতা আচরণে যন্ত্রণার কোনও ছাপ পড়েনি। রবিবার সন্ধ্যায় রক্তাক্ত সেই মেয়েকে দেখে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। তবে মেয়ের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখেও ভেঙে পড়েননি মা। বরং আর পাঁচটা সাধারণ নাগরিকের মতো তিনিও মিছিলে পা মেলালেন। জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলে নেমে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও জানালেন ঐশী ঘোষের মা শর্মিষ্ঠা ঘোষ।
ভিডিও- অনির্বাণ কর্মকার।
আরও পড়ুন: ‘ও যখন শুনবে না, তখন আর বলে কী হবে?’, দুর্গাপুরের বাড়িতে উদ্বিগ্ন ঐশীর দিদিমা
মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ডিটিপিএস এক নম্বর গেটের সামনে থেকে জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলে শামিল হন ঐশীর মা শর্মিষ্ঠা ঘোষ। মিছিল থেকে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রীর মা বলেন, ‘‘পড়াতে যখন পাঠিয়েছে মেয়েকে, ফিরিয়ে নেব না। তবে এই উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। যেভাবে উনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছেন, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উনি উপাচার্য হিসেবে বহাল থাকলে ছেলেমেয়েদের ওখানে রাখতে চিন্তা হবে’’। এর পাশাপাশি ঐশীর মায়ের অভিযোগ, ‘‘এটা পূর্বপরিকল্পিত হামলা। জেএনইউ-তে ঢুকতে গেলে অনেক নিরাপত্তার বেড়া টপকে ঠুকতে হয়। সেখানে কীভাবে ৫০-৬০ জন কাপড়ে মুখ বেঁধে ঢুকলেন। সরকারের পুলিশের সামনে ঘটল সবটা’’।
ভিডিও- অনির্বাণ কর্মকার।
আরও পড়ুন: ‘জেএনইউ-তে সাজানো ঘটনা, রক্ত না লাল রং?’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের
অন্যদিকে, ঐশীর নাম না করে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘জেএনইউ-তে সাজানো ঘটনা ঘটেছে। মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে সহানুভূতি আদায় নয় তো? রক্ত না লাল রং?’’ এ প্রসঙ্গে ঐশীর মা বলেন, ‘‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দিলীপবাবুই ভাল বলতে পারবেন’’। উল্লেখ্য, হামলার দু’দিন পরও জেএনইউকাণ্ডে কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে, ঐশী-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।