তীব্র দাবদহের কারণেই মালদার বিভিন্ন বাগানে আম গাছে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। ফলে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে আম। আর এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে মালদা আম চষিরা। এই ধরনের পোকা প্রচলিত ভাষায় "দোয়ে" পোকা বলে জানিয়েছে উদ্যানপালন দফতর। তবে এর জন্য তীব্র দাবদাহ দায়ী বলে মনে করছে আমি চাষি থেকে জেলা উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা। গত কয়েকদিন ধরে মালদা জেলায় ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে। বইছে লু। আর এই তীব্র দাবদহের জন্য বিশেষ ধরনের পোকার আক্রমণ আম গাছে হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার ক্ষেত্রেও চাষীদের চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে আম বাঁচাতে চাষীদের বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর।
মালদা জেলায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু দোয়ে পোকা আক্রমনের ফলে আম উৎপাদনের যে টার্গেট জেলা উদ্যান পালন ও বাগিচা দফতরের কর্তারা আশা করেছিলেন তাতে ভাঁটা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
এই বছরের শুরুতে আম উৎপাদনে অনুকুল আবহাওয়ার ফলে চাষী থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশিতে ছিলেন। সময়ের আগেই মালদার আমবাগান মুকুলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমজনতাও মালদার আমের স্বাদ অল্প খরচে পাবে আশা করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্রদাবদহ কপালে ভাঁজ ফেলেছে সকলের।
অধিকাংশ আমি চাষিদের বক্তব্য, যেহারে এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে আমকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে দাড়িয়েছে। ঋণ নিয়ে আমচাষ করেছিলেন। প্রথমে মুকুল ভালো হওয়ায় আশা করেছিলাম, এবার হয়তো ফলন ভালো হবে। কিন্তু হঠাৎ করে এই ধরনের পোকার আক্রমণে বিপুল পরিমাণ আম গাছ থেকে ঝরে পড়ছে।
উদ্যান পালন দফতরের জেলা আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, পোকা উপদ্রব শুরু হয়েছে। তীব্রদাবদহও চলছে। এই সময় সংবেদনশীল পোকা মারার কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ শিবির করে চাষীদের জানানো হচ্ছে। এছাড়া নিম তেল জাতীয় ওষুধ জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই দয়ে পোকা উপদ্রব কমে যাবে।