নদিয়ার গয়েশপুরের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারেও গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ সামনে এল। ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে রবিবার পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ারে। এ ঘটনায় সোমবার ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নদিয়ার গয়েশপুরে গণপিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গণপিটুনির ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো বিশিষ্টদের চিঠির পরই বাংলায় এই জোড়া গণপিটুনির ঘটনা সামনে এল।
আরও পড়ুন: বাংলায় ফের ‘গণপিটুনি’তে মৃত্যু, উত্তাল মালদা
আলিপুরদুয়ারের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘আড়াইশোরও বেশি লোক ওই ব্যক্তিকে মারধর করেছে। জনতার হাত থেকে যখন ওঁকে আমরা উদ্ধার করলাম, তখন ও গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিল’’। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘নিশ্চিত করে যেমন বলতে পারব না, তেমনই অস্বীকারও করতে পারব না যে পুলিশ সেদিন শূন্যে গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাস্থলে যখন পুলিশ পৌঁছেছিল, স্থানীয়রা বাধা দিচ্ছিলেন। আমরা এর আগে চা বাগানে সচেতনতামূলক প্রচার করেছিলাম। মাইকিং করে আশপাশের গ্রামে প্রচার করেছিলাম যে যদি কিছু সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে পুলিশকে জানান, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’’। ইতিমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ, ঘটনাস্থল নদিয়া
পুলিশের আরেক সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এলাকায় ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরই ওই ব্যক্তিকে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে গুজব রটে যে, এলাকায় ছেলেধরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বীরপাড়া থানার অন্তর্গত তিস্তা চা বাগান এলাকাতে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গণপিটুনির ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সে সময়ই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনার আগে গত ২২ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারে জখম ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। এর পরের দিন ২৩ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে এক মূক ও বধির নাবালিকাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে নাগরাকাটায়।
Read the full story in English