কিছুদিন আগেই পাঁচ মিনিটের জন্য দলের দরজা খোলার কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই দরজা খুললেই বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। জল্পনা সত্যি করে রবিবার বিজেপির পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কলকাতায় তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
Advertisment
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুমনকে জোড়াফুলের উত্তরীয় পরিয়ে দলে যোগদান করান। এই নিয়ে ছয় নম্বর বিধায়ক হারাল বিজেপি। এর আগে মুকুল রায়, কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস, সৌমেন রায় গেরুয়া শিবির ছেড়ে ধরেন জোড়াফুলের পতাকা। এবার উত্তরবঙ্গের শক্ত ঘাঁটি আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা দিল তৃণমূল।
কয়েক দিন আগে দুই বিজেপি বিধায়ক ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে এসেছিলেন বলে জল্পনা ছড়ায়। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর মেলে। তাঁদের একজন তারকা বিধায়ক বলে রটে। বিজেপির তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নাম ভেসে ওঠে। তার পর বিতর্কের জল অনেক দূর গড়ায়। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি ছাড়ার কথা নস্যাৎ করেন হিরণ। পাল্টা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি হিরণের গোপন কথা ফাঁস করার হুমকি দেন।
কিন্তু যা রটে, তার কিছু যে বটে তা ঘটিয়ে দেখাল তৃণমূল। আলিপুরদুয়ার বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। একুশের নির্বাচনে এই জেলায় একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। একমাত্র সাংসদও বিজেপির। ভোটের পর বার বার এই জেলায় ছুটে গেছেন মমতা এবং অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগ নিসন্দেহে বড় ধাক্কা বিজেপির কাছে। অন্যদিকে, ডুয়ার্সে জমি শক্ত করার কাজে এক ধাপ এগোল শাসকদল।