বিজেপি কাঁটাতার পেরিয়ে আসা সব হিন্দুদের 'শরণার্থী' মনে করে, আর মুসলমানদের 'অনুপ্রবেশকারী'। ইতিমধ্যেই সিএএ, এনআরসি পক্ষে আইন হয়েছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এসেবর মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, 'যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ঢুকেছো, তাকে কাঁটাতারের বেড়ার ও পারে যেতে হবে। সে হিন্দু হোক আর মুসলিম। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে এলে তার সঙ্গে কোনও ব্যাপার নেই। যে ভারতে জন্মেছো…।'
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে যে, তাহলে কী শুভেন্দু অধিকারী 'অনুপ্রবেশকারী' ও 'শরণার্থী' ইস্যুতে দলের নীতিরই বিরুদ্ধে?
আরও পড়ুন- ‘যতক্ষণ না মরেছে বোমা মেরেছে’, বড়ঞায় তৃণমূলের খুনি তৃণমূলই! বিস্ফোরক নিহতের আত্মীয়
শুভেন্দির মন্তব্যে সঙ্গে অবশ্য সহমত পোষণ করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, 'বিজেপি কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সিএএ-এর মাধ্যমে বাকিদের নাগরিকত্ব দিতে চাই। এটাই আমাদের দলের অবস্থান।' তাঁর দাবি, 'বিরোধী দলনেতা ঠিক কী বলেছেন আমি জানি না। তিনি ব্যক্তিগত মত দিয়ে থাকতে পারেন। তিনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বলেছেন আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলে সব জানব।' শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারিতে কারোর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
উল্লেখ্য, মতুয়া সহ পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা বহু 'শরণার্থী'ই বিজেপির সিএএ আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া সহ বহু হিন্দু 'শরণার্থী' বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। যদিও চার বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও সিএএ-এর ধারা তৈরি হয়নি, ফলে লাগু করা যাচ্ছে না ওই আইন। তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার জোগাড়। বারে বারে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে। এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি আগুনে ঘি ঢালতে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।