প্রথমে মেয়েটির বাড়ির লোকজনদের থেকে অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশিতে যায় পুলিশ। তবে নাবালিকার খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, নাবালিকার খোঁজ করতে যথেষ্ট তৎপরতা শুরু থেকে নেননি পুলিশকর্মীরা। পরে ওই এলাকারই একটি ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে নাবালিকার হাত-পা-মুখ বাঁধা দেহ উদ্ধার করা হয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সোচ্চার হন বাসিন্দারা।
এরপরেই একদল বাসিন্দা ধেয়ে যান তিলজলা থানায়। থানা ঘেরাও করে শুরু হয় ইট-বৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে বেরিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। তবে শুরুতে বিক্ষোভকারীদের সামাল দেওয়া কার্যত কঠিন হড়ে পড়ে পুলিশের কাছে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। ততক্ষণে অবশ্য ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। শেষমেশ লাঠিচার্জ করে এলাকা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। তিলজলার অলিতে গলিতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ।
এদিকে, যে ফ্ল্যাটটি থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক অশোক কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, থানায় হামলার ঘটনাতেও স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতের এই ঘটনার পর সোমবার সকালেও গোটা এলাকার পরিস্থিতি বেশ থমথমে।