জমি থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক যুবতীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার বিহার সীমান্ত এলাকায়। গণধর্ষণের পর মুখে অ্যাসিড দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ওই যুবতীকে। এমনই অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীদের। রবিবার সাতসকালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এক জমি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই যুবতীর মৃতদেহ। যার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মদ, অ্যাসিডের বোতল এবং কন্ডোম। এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
যদিও মৃত যুবতীর কোন পরিচয় পুলিশ জানতে পারেনি। তবে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বিহার এলাকার বাসিন্দা হতে পারেন ওই যুবতী। কারণ, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার গ্রামবাসীরা উদ্ধার হাওয়া মৃত যুবতীকে শনাক্ত করতে পারেননি। রবিবার মালদার চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নসরপুর এলাকার মাটির রাস্তার ধারে জমি থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে। নসরপুর এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই গ্রামের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিহার রাজ্য। তাতেই মনে করা হচ্ছে, ওপার থেকে ওই যুবতীকে দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে এসে এখানে গণধর্ষণের পর মুখে অ্যাসিড দিয়ে খুন করেছে।
যেভাবে মৃত যুবতীর দেহ পড়েছিল এবং আশপাশে যেসব সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তাতে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের আগে ওই যুবতীর প্রতি নৃশংস আচরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌঁছন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা-সহ চাঁচল মহকুমার বিশাল বাহিনী। আসেন পদস্থ পুলিশ কর্তারাও। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের পর খুন, নাকি এই ঘটনার পিছনে আরও বড় কিছু, তা এখনই পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কলকাতার দুর্গোৎসবে মাইলফলক! পুজোর ‘থিম সং’ গাইলেন বাংলার দুঁদে আমলা, দেখুন ভিডিও