ঘোরতর বিপাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এক আদিবাসী ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশন। নালিশ পেয়েই চূড়ান্ত তৎপরতা কমিশনেরও। ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রিপোর্ট না দিলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সমন জারির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
আবারও বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার তাঁর বিরুদ্ধে এক আদিবাসী ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতীতে গবেষণার জন্য সুযোগ মেলেনি হুগলির হরিপালের বাসিন্দা আদিবাসী ছাত্রী পাপিয়া মাড্ডির। এমনকী বিষয়টি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের সঙ্গে বিস্তর ফারাক দিলীপের কথায়! ভোট মিটতেই শোরগোল তুঙ্গে
আদিবাসী ওই ছাত্রীটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। এমফিল করার পর গবেষণার জন্য তিনি আবেদন করেন। ওই ছাত্রীর দাবি, তফসিলি উপজাতি সংরক্ষণের বিধি মেনে তাঁর নাম মেধাতালিকার শীর্ষে ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে গবেষণার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন- কোলাহলহীন প্রান্তে বেড়ানোর ১৬ আনা মজা! কান পেতে শুনুন জল-জঙ্গলের ফিসফিসানি!
এরপরেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন আদিবাসী ছাত্রী পাপিয়া মাড্ডি। কেন তাঁকে গবেষণার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না সেব্যাপারে তিনি জানতে চান। সদুত্তর না পেয়ে এরপর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক আধিকারিককে তিনি চিঠি দেন।
সেই চিঠিরও কোনও উত্তর মেলেনি বলে দাবি ওই ছাত্রীর। শেষমেশ গোটা বিষয়টি তিনি লিখিত আকারে জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনকে জানিয়েছেন। পাপিয়ার সেই চিঠি পেয়েই চূড়ান্ত তৎপরতা কমিশনেরও। আদিবাসী ছাত্রীটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশন। রিপোর্ট না পেলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমন জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।