বার্থডে পার্টিতে নিয়ে গিয়ে বান্ধবীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বন্ধু ও তার তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি, এলাকার এক নামী হোটেলের ম্যানেজারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওই দিন সন্ধ্যায় চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গার বাসিন্দা দেবপ্রিয় বিশ্বাস নামে এক যুবক তার জন্মদিন উপলক্ষে খাওয়ানোর নাম করে চুঁচুড়ারই বাসিন্দা এক স্কুলপড়ুয়া বান্ধবীর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিল। এরপর তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক হোটেলে। সেখানে তখন তার আরও তিন বন্ধু উপস্থিত ছিল। ওই হোটেলেই রাতভোর তারা চার বন্ধু ওই নাবালিকাকে যৌননিগ্রহ করে।
গভীর রাত অবধি মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় চিন্তিত হয়ে অভিভাবকরা চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পরদিন ভোরে চুঁচুড়া শহরের বহু পরিচিত একটি হোটেল থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই স্কুলপড়ুয়া নাবালিকা পুলিশকে জানায়, তাঁর পূর্বপরিচিত বলেই দেবপ্রিয়র জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল। কিন্তু, খাওয়াদাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে এইভাবে অসভ্যতা করা হবে, সেটা সে ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি।
ওই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালেই দেবপ্রিয় বিশ্বাস-সহ তার তিন বন্ধু সৌম্যদীপ পাত্র, দেবরাজ দাস এবং নিবারণ বালাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফুটপাতের পাঁচালি পর্ব-১: এ শহরের ছিন্নমূল মানুষের ঘরই যখন খোলা আকাশ
এরপর, যে হোটেলে যৌননির্যাতন করা হয়েছিল, সেই হোটেলের ম্যানেজার গৌরাঙ্গ বিশ্বাসকেও গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও পকসো আইন লাগু হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, ওই হোটেলের ম্যানেজার একজন নাবালিকা-সহ চার জন যুবককে অন্যায়ভাবে সারারাত ঘরভাড়া দিয়েছেন। তাই তাঁকেও ওই একই অভিযোগে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।