তারাপীঠের মন্দিরে দেবী তারার পুজো দিতে গিয়ে সেবাইতদের একাংশের হাতে প্রহৃত হলেন কয়েকজন মহিলা। নিগৃহীতাদের অভিযোগ, সেবাইতদের দাবি মত মোটা অঙ্কের টাকা না-দেওয়ায় তাঁদেরকে মারধর করা হয়েছে।
Advertisment
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইতরা। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকজন মহিলা পুণ্যার্থী। সেই সময় মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাদের জনপ্রতি ২,০০০ টাকা করে দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। এমনটাই অভিযোগ ওই মহিলা পুণ্যার্থীদের।
মহিলারা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেবাইতদের একাংশ এবং তাঁদের লোকজন বাঁশ ও লাঠি নিয়ে মহিলা পুণ্যার্থীদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যা মঞ্জু মোহান্তিও।
দু'দিন ধরে তারাপীঠে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সম্মেলন চলছে। এদিন সকালে সম্মেলনে উপস্থিত কয়েকজন সদস্য তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহিলা মোর্চার রাজ্যে সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। তাঁরা সেখানে প্রতিবাদ জানান। আক্রান্ত মঞ্জু মোহান্তিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঞ্জু মোহান্তি বলেন, 'আমরা কয়েকজন মহিলা মা তারার দর্শন করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, মায়ের দর্শনের জন্য য়ে ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা দিতে হয়, জানতাম না। আমরা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করলে মারধর শুরু হয়। আমরা এই অত্যাচার আর দাদাগিরির বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হব।'
এই বিষয়টির পিছনে কোনও রাজনৈতিক প্ররোচনাও থাকতে পারে বলেই মনে করছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা রাজ্য সফরে এসেছেন। তাঁকে তাঁরা গোটা বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।