crematoriums:শ্মশানে সমাধিস্থ একের পর শবদেহ লোপাট? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পেয়েই তদন্তে পুলিশ

grave excavation: মারাত্মক অভিযোগে হুলস্থূল কাণ্ড। সাংঘাতিক এই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ ১০-১২ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

grave excavation: মারাত্মক অভিযোগে হুলস্থূল কাণ্ড। সাংঘাতিক এই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ ১০-১২ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

author-image
Mousumi Das Patra
New Update
Nabadwip crematorium  ,grave excavation,  body theft,  skeleton missing,  police investigation,  Nabadwip police  ,illegal body trafficking  ,temple ground scandal  ,political controversy,  administrative negligence,নবদ্বীপ শ্মশান,  সমাধি খোঁড়াই,  মৃতদেহ চুরি  ,কঙ্কাল উধাও  ,পুলিশি তদন্ত,  নবদ্বীপ থানা  ,নবদ্বীপ মহাশ্মশান,  দেহ পাচার,  রাজনৈতিক বাদানুবাদ  ,প্রশাসনিক অবহেলা

এই কবরস্থান থেকেই দেহ লোপাটের অভিযোগ।

নবদ্বীপে শ্মশান চত্বরে সমাধিস্থ শবদেহ লোপাট হয়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তবে কি নবদ্বীপে মৃতদেহের কঙ্কাল চুরি কাণ্ড চলছে? গুরুতর এই অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ ১০-১২ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। তবে ৭ বছর আগে নবদ্বীপে কঙ্কাল চুরির ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেই কাণ্ডে পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছিল। 

Advertisment

তাদের নাম ছিল তাপস পাল, কার্তিক ঘোষ। ধৃতদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভাগীরথীর নির্জন চর নদিয়া থেকে মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ওই সময় পুলিশ নৌকার মধ্যে থেকে কঙ্কাল পরিষ্কার করার নানা সরঞ্জাম, কেমিক্যাল, গ্যাস ওভেনও উদ্ধার করেছিল। পূর্ব বর্ধমানের মুক্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই কঙ্কাল চুরি, চড়া দামে বিক্রি সমস্ত কাণ্ড চলত। অর্থাৎ নবদ্বীপে কঙ্কাল চুরির মতো গুরুতর অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্মশানের ওই এলাকায় একটি দেওয়াল তোলা  হচ্ছে। সেই দেওয়ালের খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে কঙ্কাল ও হাড়গোড়ের অংশ পাওয়া যায়। নবদ্বীপ শ্মশানঘাট এলাকার পিছনে এখানেই বৈষ্ণবদের সমাধিস্থ করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানে সমাধির জন্য বেশ কিছু মানুষ গিয়েছিলেন।

সেই সময় ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি গর্ত দেখা যায়। ওই এলাকাতে জঙ্গল রয়েছে। সেই গাছ-গাছালির মধ্যেও পচনশীল মৃতদেহের অংশও পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় সমাধিস্থ করতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে শ্মশান কর্তৃপক্ষকে গোটা  বিষয়টি জানানো হয়। মৃতদেহ চুরির অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তেওয়ারির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। শনিবার অভিযোগ হওয়ার পর  তদন্তও শুরু হয়ে যায়। একইসঙ্গে ওই এলাকায় পুলিশি পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়। এ নিয়ে নবদ্বীপে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। মৃতদেহের কঙ্কাল কারা চুরি করছে?

আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update: সেনাবাহিনীকে প্রশংসা জানিয়ে প্রস্তাব, বিধানসভায় আজ মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু

Advertisment

এর পিছনে কোন চক্র কাজ করছে? ৭ বছর আগে কঙ্কাল চুরির ঘটনা থেকে পুলিশ যথেষ্ট সজাগ। সেই সময় তাপস পাল, কার্তিক ঘোষ নামে ধৃত দুই যুবক মোটা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কঙ্কাল পাচার করত। তাই পুলিশ প্রথম থেকেই কড়া মনোভাব নিয়েছে। শ্মশান চত্বর থেকেও কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একইসঙ্গে আগের ঘটনায় যুক্তরা কি ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- Success story: দুরন্ত দক্ষতায় অনন্য নজির! কৃতীকে শুভেচ্ছায় ভরালেন অভিষেক

এই প্রসঙ্গে আই সি জলেশ্বর তিওয়ারি বলেন, "আমরা খবর পাওয়ার পর থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। আগের ঘটনাও আমরা খতিয়ে দেখছি। সমস্ত কিছু নিয়ে তদন্ত চলছে।" এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় BJP নেতা থেকে স্থানীয়রা পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বিমান সাহার সাফ কথা, পুরসভা এলাকায় ভালো কাজ হচ্ছে। তাই বিরোধীরা এভাবে প্রচার করছে। আমরা বলছি যারা করছে তাদের হাতেনাতে ধরা হোক। তারপর বললে মানব।'

Bengali News Today Nadia Nabadwip