বৃহস্পতিবার ভোট। বুধবার সকাল থেকেই শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা ভোট কর্মী, প্রশাসনের। হলদিয়া মহাকুমা শাসকের দফতরের পাশের মাঠ থেকে থেকে বন্টন করা হচ্ছে ভোট সরঞ্জাম। সেখানে ভোট কর্মীদের গাদাগাদি ভিড়। কিন্তু, গণতন্ত্রের উৎসবের ঘিরে একেবারেই খুশি নন অধিকাংশ ভোট কর্মী। নাজেহাল অবস্থায় ভোট কর্মীদের অসন্তোষ বাড়ছে। অভিযোগের কথা মেনে নিয়েছেন হলদিয়ার মহকুমা শাসক। কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিন তিনি।
হলদিয়া মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভার ভোট কেন্দ্রগুলির সরঞ্জাম হলদিয়া ডিসিআরডি কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ভোট কর্মীদের। ২৪টি কাউন্টার রয়েছে সেখানে। রয়েছে পাখা, আলো, শৌচালয়। ভোট কর্মীদের খাবারেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু, মহকুমা শাসকের দফতরের পাশের মাঠে গিয়ে দেখা গেল অব্যবস্থার ছাপ। অত্যন্ত ছোট্ট পরিষর। করোনা বিধি শেকেয় উঠেছে। ভোটকর্মীদের গাদাগাদি ভিড়। অনেকেই আবার বসার জায়গাটুকু পাননি। ভোট কর্মীদের জন্য পাখা থাকলেও প্রচণ্ড গরমে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। অনেকগুলো শৌচালয় থাকলেও বেশিরভাগই যাওয়ার অনুপযুক্ত। খাবার-দাওয়ার ঘিরেও ভোটকর্মীদের অসন্তোষ বাড়ছে। তার মধ্যেই ভোটের কাজ করতে হচ্ছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভোট কর্মীদের।
একটি বুথের ফার্স্ট পোলিং অফিসার সুকুমার মাইতির কথায়, 'গরমে প্রাণান্তকর অবস্থা। এত ছোট্ট মাঠে সব আয়োজন করা হয়েছে যে সব গোছাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। বসার জায়টুকু মিলছে না। খাবার দাওয়ারও ঠিক মতো জুটছে না। কিচ্ছ ভালো লাগছে না।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোট কর্মীরও একই অভিযোগ।
ভোট কর্মীদের অভিযোগ নিয়ে হলদিয়ার মহকুমাশাসক অবনিত পুনিয়ার সঙ্গে ফোন কথা বলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধি। মহকুমাশাসক ভোটকর্মীদের অভিযোগের কথা কার্যত স্বীকার কর নিয়েছেন ও তা মেটাবার আশ্বাস দিয়েছেন। মহকুমাশাসক অবনিত পুনিয়া বলেছেন, 'গতবারের থেকে ভোটের সরঞ্জাম বন্টনের কাউন্টার বৃদ্ধি করা হয়েছে। শোচালয়, পাখা, পানীয় জল সহ সবকিছুই গতবারের থেকে বাড়ানো হয়েছে। মাঠের পরিষরটা বাড়ানো সম্ভব নয়, তবে প্রথম দিকটা একটু অসুবিধা হচ্ছে- সময় এগোলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তাও আমরা পুরো বিষয়টা দেখছি।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন