NIA Attacked in Bhupatinagar: এযেন সন্দেশখালির ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এবার NIA-এর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের ভূপতিনগর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। শনিবার কাঁথির ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করে গাড়িতে তোলার পরেই ধু্ন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফেই এবার NIA আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের থানায়।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির (Contai) ভূপতিনগরের বিস্ফোরণ মামলার (Bhupatinagar Blast) তদন্তে গিয়েছিল NIA। শনিবার ওই এলাকা থেকে দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। সেই সময়ে তাঁদের গাড়ি আটকে চলে ভাঙচুর। এমনকী কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের মারধরের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। গতকালই ভূপতিনগর থানায় NIA-র তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, গতকাল রাতে ভূপতিনগর থানায় বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের শ্লীতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে।
ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতেও (Sandeshkhali)। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ED। নজিরবিহীন হামলার শিকার হতে হয়েছিল এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও। বেধড়ক মারে মাথা ফেটেছিল বেশ কয়েকজন ইডি আধিকারিকের। উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধেই শাহজাহানের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি এবার ভূপতিনগরে।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee On NIA Attack: ভূপতিনগরে কেন আক্রান্ত NIA? কারণ বাতলে বিরাট প্রশ্ন খোদ মমতার
যদিও ভূপতিনগরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই গতকাল সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তিনি গতকাল বলেছিলেন, ‘মধ্যরাতে কেন গিয়েছিল? স্থানীয় পুলিশকে জানিয়ে তো যায়নি। মধ্যরাতে গ্রামের মানুষ অচেনা কাউকে দেখলে তো এমনই ঘটে!’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘ভোটের আগে কেন গ্রেফতার? সব ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করে ভোটে জিতবে? কী অধিকার আছে এনআইএর? বিজেপি যে নোংরা খেলা খেলছে তার বিরুদ্ধে আমরা আওয়াজ তুলব সারা দেশে।"
এদিকে, গতকাল ভূপতিনগরে NIA-এর হাতে ধৃত দুই তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতি ও মনোব্রত জানাকে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত NIA হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন কেন্দ্রীয় এই সংস্থাটির তরফে আদালতে জানানো হয়, সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়েই গতকাল তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন তাঁরা। ধৃত দুই তৃণমূল নেতারই বিস্ফোরণকাণ্ডে যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ NIA-র।
আগে দু'বার তলব করা হলেও দু'জনেই এনআইএ-র তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতির কাছ থেকে নগদ ২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে NIA। এছাড়াও গতকাল ভূপতিনগরের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মোবাইল ফোন, ডায়েরি, রেজিস্ট্রার মিলেছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে দেয় NIA বিশেষ আদালত।