রীতিমত রোমহর্ষক। গত ৩১ অগস্ট শিলিগুড়ি সংলগ্ন চাঁদমণির মাটিগাড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধার হয় এক যুবতীর দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মাটিগাড়ার শুটকি হাট থেকে মহম্মদ আখতারকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে পুলিশ যা জানতে পারে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত মহম্মদ আখতার স্বীকার করে নিয়েছে যে সেই অঙ্কিতা মাহালি নামের মহিলাকে খুন করেছে। শুধু অঙ্কিতাই নয়। আখতার আরও এক মহিলাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে। এই মহিলাও তার প্রেমিকা ছিল। জেরায় মেলা তথ্য থেকে সোমবার পুলিশ মাটিগাড়ার কবরস্থান থেকে আখতারের দ্বিতীয় প্রেমিকার কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার করেছে।
জেরায় পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ আখতার বিবাহিত। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল সে। যা নিয়ে রোজই ঝামেলাহত। সেই চাপমুক্ত হতেই প্রেমিকাদের মদ্য পান করিয়ে খুন করে সে। পরে দেহ লোপাটে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয় এই দুই মহিলার দেহ।
দেহ দু'টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগে পাঠিয়েছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় মৃত দুই মহিলার পরিবারের সদস্যদের তলব করা হয়েছে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব,জোন ১) জয় টুডু জানিয়েছেন, ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রেমিকাদের আখতার ধর্ষণ করেছিল কিনা এরপরই স্পষ্ট হবে। অভিযুক্ত পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন