TMC VS BJP: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনাকালে কোভিড সরঞ্জাম কেনায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে ইডি, আয়কর দফতর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন কোভিড চলাকালীন রাজ্যে সরঞ্জাম কেনায় বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। আর, সেই কেলেঙ্কারি রুখতে তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে তদন্ত চান। সেই মত শনিবার ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চিঠিটি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন।
Advertisment
চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, 'কোভিড অতিমারীর সময় বাংলায় পিপিই কিট এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এক বিশাল আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছিল। সম্মিলিতভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজ্যকে দিয়েছিল। যাইহোক, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে, চুরি রুখতে কোনও কঠোর ব্যবস্থা সেই সময় বলবৎ হয়নি। হলে, কোভিড সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারত। সেকথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোকে সরল বিশ্বাসে দ্রুত কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল।'
A huge financial scam was executed in WB during the Covid Pandemic period, in regards to the purchase of PPE kits and other medical equipments by the WB Health Department. Huge funds were provided by the Central Govt at that time to bolster the efforts for fighting against the… pic.twitter.com/RLNnMya5Pg
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 25, 2023
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার একে তহবিল চুরির সুস্পষ্ট সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। আর, কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে।' সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, 'এই সব কারণেই আমি ইডি, আয়কর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে এই কেলেঙ্কারির তদন্ত দাবি করছি।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য সদস্যদেরও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, 'মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা (ইওডব্লিউ) সম্প্রতি কোভিডকালে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, কোভিড জাম্বো সেন্টার এবং মুম্বইয়ের অন্যান্য হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে অনিয়মের উল্লেখ করে এফআইআর দায়ের করেছে। পরে তার সঙ্গে অন্যান্য মামলাও যুক্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগ, যা খরচ হয়েছে, তার ৬০% বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইডি শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি এফআইআরের মত একটি ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করতে পারে। মনে হচ্ছে গোটা দেশেই ইন্ডি জোটের শরিকরা কোভিডকে হাতিয়ার করে অর্থ হাতিয়েছে। তা সে উদ্ধব ঠাকরের জমানার মহারাষ্ট্র হোক বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানার বাংলা!'
তৃণমূলের তরফে এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, তিনি বলেন, 'উন্নয়ন কাকে বলে বিজেপি জানে না। বাংলার মানুষের প্রতি বৈষম্য, প্রতিহিংসা- এগুলোই বিজেপির কাজ। সেই কারণেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী মানসিক ভারসাম্যহীন।'