Along with Delhi, Kolkata's air pollution is also raising concerns: শীতের শুরুতেই মারাত্মক পরিস্থিতি নিয়েছে দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution)। রাজধানীর দূষণের মাত্রা পাঁচশোর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শুরু হয়েছে জল ছড়িয়ে দূষণের মাত্রা কমানোর প্রয়াস। দিল্লির দূষণ কমাতে কেন্দ্রের কাছে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঝরানোর অনুমতি চেয়েছে দিল্লি সরকার। এই পরিস্থিতিতে শহর কলকাতার দূষণও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
শীতের শুরুতেই শহর কলকাতায় দূষণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরের দূষণের মাত্রা বিভিন্ন জায়গায় ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার জেরে ঘোর উদ্বেগে পরিবেশবিদরা। তাঁদের অনেকের মতে শীতের শুরুতেই যদি কলকাতা শহরের দূষণের মাত্রা এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছোয় তাহলে ভরা শীতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো চর্চা ছড়িয়েছে।
পরিবেশবিদদের একাংশ বলছেন, ১৫ বছরের অধিক এমন গাড়িগুলি অবিলম্বে বদলে ফেলতে হবে। তা না হলে কলকাতায় বেড়ে চলা মাত্রাতিরিক্ত দূষণ কিছুতেই ঠেকানো যাবে না। সেই সঙ্গে বর্জ্য পদার্থ জ্বালানো একটি বড় রকমের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকাতা বিভিন্ন দিকে বর্জ্য পদার্থ একসঙ্গে জ্বালিয়ে ফেলা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে সেই সব কাজ করছেন একাংশের মানুষজন। তাতে করেই কলকাতার আকাশ গ্রাস করছে দূষণের কালো মেঘ। এখনই পরিস্থিতি সমালাতে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। শীত সবে পড়তে শুরু করেছে। ঠান্ডার আমেজ শহর থেকে জেলা সর্বত্র। দূষণের মাত্রা সমস্যা বাড়িয়েছে।
এবছর শীতের শুরু থেকেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা চরম আকার নিয়েছে। দিল্লি ও তার আশেপাশের অঞ্চলে দৃশ্যমানতা যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, দিল্লির ১২টি বেশি জায়গার বাতাস অতি ভয়ঙ্কর পর্যায়ে রয়েছে। বুধবার বাতাসের গুণমান সূচকের সামান্য উন্নতি হলেও বিপদ এখনও রয়ে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকার বাতাসের গুণমান পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ১২ টিরও বেশি কেন্দ্রের বাতাসের গুণমান সূচক ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।