আগামী বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর, ২০২৩) মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। আলিপুর জেল মিউজিয়ামে হবে বিজয়া সম্মিলনী। প্রতিবারই সৌজন্য দেখিয়ে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের। থাকেন বহু শিল্পপতি, সংস্কৃতিক জগৎ সহ বহু ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কারা কারা নিমন্ত্রিত তার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। নির্বাচিতদের কাছে আর কয়েকদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের আমন্ত্রণপত্র। বিরোধী দলের কোন কোন নেতার দুয়ারে এবার পৌঁছচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণ? তা নিয়ে জল্পনা।
রাজ্য প্রসাশন সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে এই বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেসের কারোর কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছচ্ছে কিনা এখনও তা জানা যায়নি।
তবে, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষকে বিজয়া সম্মিলনীতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কেন ব্রাত্য?
আরও পড়ুন- অতীতে কুণাল, পার্থ থেকে হালে জ্যোতিপ্রিয়, শ্রীঘরে ঢুকলেই কেন সকলে নাম নিচ্ছেন মমতার?
রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের মতে, বিজয়া সম্মিলনী পরিষদীয় কর্মসূচি কোনও কর্মসূচি নয়। এই অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে তৃণমূল ও মমতা-অভিষেককে একের পর এক নিশানা করে চলেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে মমতার পাজয়ও শুভেন্দুর হাত ধরেই। বিরোধী নেতা হয়ে সরকারপক্ষের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানীতে। এই অবস্থায় সৌজন্য দেখিয়েও বিরোধী দলনেতাতে রেয়াত করতে নারাজ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমন্ত্রণ এলেও বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যাবেন সুকান্ত, দিলীপরা? বিজেপি সূত্রে খবর, যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ ভোটের আগে মমতা আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলে এই দুই শীর্ষ নেতার তৃণমূল বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ভোটের আগে চাগিয়ে উঠতে পারে 'বিজেমূল' তত্ত্ব। ফলে শাসক পক্ষের সৌজন্যের বদলে পাল্টা সৌজন্য দেখাবেন না গেরুয়া নেতারা।